যশোরের শার্শায় বাকপ্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণ ও অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর ভয়ভীতি দেখিয়ে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে আবু তালেব (৬০) নামে বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ধর্ষক একই এলাকার ঘরজামাই ও উপজেলার বসতপুর কলোনী গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ওই প্রতিবন্ধীর মা জেসমিন বাদী হয়ে ধর্ষক আবু তালেবের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শার্শা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোগা ইউনিয়নের হরিচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরী জন্ম থেকে বাকপ্রতিবন্ধী। কিশোরী তাদের বাড়ির পাশের ঘর জামাই আবু তালেবের বাড়িতে প্রায় যাতায়াত করতো। এই সুযোগে মিষ্টি খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে ওই বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করতেন আবু তালেব। এক পর্যায়ে ওই কিশোরী অন—ঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তার বাবা-মা বিষয়টি স্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে জানায় এবং এর বিচার চান। স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ বিচার না করে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ওই কিশোরীর বাবা-মাকে ভয়ভীতি দেখায়। পরে গোগা বাজারের পল্লী চিকিৎসক রেজার স্ত্রীর সহযোগিতায় ওই কিশোরীর গর্ভপাত করায়। এঘটনায় ওই কিশোরীর মা জেসমিন বাদী হয়ে আজ (সোমবার) থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জেসমিন বলেন, কিছুদিন ধরে তার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হওয়ায় তাদের সন্দেহ হলে তাকে স্থানীয় ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করে রিপোর্টে দেখা যায় তার মেয়ে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা । পরে বিষয়টি মেয়ের কাছে জানতে চাইলে সে ইশারা ইঙ্গিতে আবু তালেব দাদা নাম বলে কেঁদে ওঠে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন তিনি। শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, আজ সকালে প্রতিবন্ধী কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য যশোর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মামলায় অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।