যশোরের ঝিকরগাছায় তুচ্ছ ঘটনায় এক মহিলার মাথার চুল কেটে মধ্যযুগীয় কায়দায় মুখে কালি মাখিয়ে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক ভাবে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতেই নির্যাতনের শিকার মহিলা ঝিকরগাছা থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অপরাধের সাথে জড়িত ৪ জনকে রাতেই আটক করে সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কোর্টে সোপর্দ করেছে। আটককৃত হলো - আব্দুল হামিদের ছেলে শিমুল(৩২), ইব্রাহিম খলিলের স্ত্রী শারমিন আক্তার রুমি (৩০), মফিজুর রহমানের স্ত্রী রানী বেগম (৫২), ও মুকুল বিশ্বাসের স্ত্রী রহিমা বেগম (৫২)। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ঝিকরগাছা উপজেলার পদ্মপুকুর গ্রামের মুকুল বিশ্বাস এর মেয়ে বিথীর ২ বছর পুর্বে পারিবারিক ভাবে বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পর বিথীর একই উপজেলার গদখালি ইউনিয়নের বেনেয়ালি গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে শিমুল এর সাথে বিয়ে হয়। রোববার (২ ফেব্রুয়ারী) দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে ফজিলা বেগম বেনেয়ালি গ্রামে তার সাবেক পুত্রবধুকে দেখতে যায়। এসময় বেনেয়ালি কলাবাগান পাড়ার সিরাজুল ওরফে ছ্যারার নেতৃত্বে আবদুল হামিদের ছেলে শিমুল হোসেন (৩৪), পদ্মপুকুর গ্রামের ইব্রাহীম খলীলের স্ত্রী শারমিন আক্তার রুমি (৩০), বেনেয়ালি গ্রামের মফিজুর ড্রাইভারের স্ত্রী রনি বেগম (৪৬), তবিবর এর স্ত্রী মাজেদা বেগম (৪২), আব্দুল হামিদের স্ত্রী আছিরন বেগম (৪৮), পদ্মপুকুর গ্রামের মুকুল বিশ্বাস এর স্ত্রী রহিমা (৪৮) সহ আরও ৫/৬ জন মহিলা মিলে ফজিলা বেগম এর মাথার চুল কেটে দিয়ে মুখে কালি লেপন করে দেয় এবং বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারপিট করে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে। সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে ফজিলা বেগম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এসংক্রান্ত একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ঘটনা জানার পরপরই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভুপালী সরকার এবং ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ বাবলুর রহমান খান এর সার্বিক তত্বাবধানে রাতেই এস আই মহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ৪ জনকে গ্রেফতার করে। ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বাবলুর রহমান খান বলেন এসংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েই আমাদের পুলিশের একটা টিম অভিযানে নামে এবং রাতেই ৪ জনকে গ্রেফতার করে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে ৪ জনকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে এবং বাকী আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।