মুলাদীতে পারাপারের নৌকা ডুবিয়ে দিয়ে কৃষকের দুইটি ঘর ও খড়ের স্তুপ পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের সেলিমপুর গ্রামের দলিল উদ্দীন খানের রান্নাঘরসহ দুইটি ঘর ও খড়ের স্তুপ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এসময় সাহায্যকারী কেউ যেন আগুন নেভাতে না পারে সেলক্ষ্যে দুর্বৃত্তরা ঘাটে রাখা নৌকা ডুবিয়ে দিয়েছিলেন বলে জানান দলিল উদ্দিন খান। একই এলাকার সিরাজ সরদারের ছেলে জাকির সরদারসহ ৭-৮জন দুর্বৃত্ত ঘর ও খড়ের স্তুপে আগুন দেয় বলে দাবি করেছেন দলিল উদ্দীন খানের স্ত্রী মিনারা সিকদার। এঘটনায় তিনি গতকাল সকালে জাগরনী পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে জাকির সরদার আগুন দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। দলিল উদ্দীন খান জানান, সেলিমপুর গ্রামের কয়েকজনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আড়িয়াল খাঁ নদের পশ্চিম পাড় ছেড়ে পূর্ব পাড়ে বসত-বাড়ি করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সেখানে একটি থাকার ঘর ও রান্নাঘর এবং গরু-ছাগল রেখে বড়ঘরের কাজ শুরু করেন। শনিবার রাত ৮টার দিকে আড়িয়াল খাঁ নদের পশ্চিম পাড়ে পুরাতন বাড়িতে অবস্থানকালে পূর্ব পাড়ে আগুন আগুন চিৎকার শুনতে পান। ওই সময় বেড়িয়ে দেখতে পান নদের অপর পাড়ে তার দুইটি ঘর ও খড়ের স্তুপ পুড়ছে। পরে লোকজন নিয়ে নদ পাড়ের চেষ্টা করতে গিয়ে দেখেন নৌকা ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে নৌকা সংগ্রহ করে পাড় হয়ে দেখেন সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এছাড়া দুর্বৃত্তরা টয়লেট ও রান্নার চুলা ভেঙে ফেলেছে। মিনারা সিকদার বলেন, স্থানীয় লালন ফকির, জাকিল সরদার ও তাদের লোকজন তুচ্ছ ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার করে আসছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জেরধরে তারা ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন। আগুন লাগার পর পর পার্শ্ববর্তী লোকজন তাদের দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেছেন। এব্যাপারে জাগরনী পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম বলেন, আগুনে দুটি ঘর ও খড়ের স্তুপ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় অভিযোগ হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।