জানুয়ারিতে সড়কে ৬০৮ প্রাণহানি

এফএনএস অনলাইন : | প্রকাশ: ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০২:৫২ পিএম : | আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম
জানুয়ারিতে সড়কে ৬০৮ প্রাণহানি

গত জানুয়ারি মাসে দেশের বিভিন্ন সড়কে ৬২১টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬০৮ জন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ১১০০ জন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে ৭২ জন নারী এবং ৮৪ জন শিশু। দুর্ঘটনায় ২৭১টি মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এতে নিহত হন ২৬৪ জন, যা মোট নিহতের ৪৩.৪২ শতাংশ।

যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র:
- মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী: ২৬৪ জন (৪৩.৪২%)
- বাসযাত্রী: ২৮ জন (৪.৬০%)
- ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি: ৩৪ জন (৫.৫৯%)
- প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স: ১৯ জন (৩.১২%)
- থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক, সিএনজি, অটোরিকশা, লেগুনা): ৯০ জন (১৪.৮০%)
- স্থানীয় যানবাহন (নসিমন-ভটভটি-মাহিন্দ্র-টমটম): ১৮ জন (২.৯৬%)
- বাইসাইকেল-রিকশা আরোহী: ১২ জন (১.৯৭%)

সড়কের ধরন অনুযায়ী দুর্ঘটনার হার:
- জাতীয় মহাসড়কে: ২১৪টি (৩৪.৪৬%)
- আঞ্চলিক সড়কে: ২৬৫টি (৪২.৬৭%)
- গ্রামীণ সড়কে: ৯৬টি (১৫.৪৫%)
- শহরের সড়কে: ৪২টি (৬.৭৬%)

সময়সূচি অনুযায়ী দুর্ঘটনা
- ভোরে: ৭.০৮%
- সকালে: ৩১.০৭%
- দুপুরে: ১৭.২৩%
- বিকেলে: ১৫.৪৫%
- সন্ধ্যায়: ৯.৯৮%
- রাতে: ১৯.১৬%

বিভাগওয়ারী দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি
- ঢাকা বিভাগ: ১৭২টি দুর্ঘটনায় ১৬১ জন নিহত (সর্বোচ্চ)
- রাজশাহী বিভাগ: ১৪.৮১% দুর্ঘটনায় ১৭.৪৩% প্রাণহানি
-চট্টগ্রাম বিভাগ: ১৫.৬১% দুর্ঘটনায় ১৫.৭৮% প্রাণহানি
- রংপুর বিভাগ: ১৩.৩৬% দুর্ঘটনায় ১১% প্রাণহানি
- বরিশাল বিভাগ: ৫% দুর্ঘটনায় ৪.৯৩% প্রাণহানি (সর্বনিম্ন)

সড়ক দুর্ঘটনার কারণ
প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো চিহ্নিত করা হয়েছে:
১. ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন
২. বেপরোয়া গতি ও চালকের অদক্ষতা
৩. সড়কে স্বল্পগতির যানবাহনের চলাচল
৫. চালকদের কর্মঘণ্টা ও বেতন নির্দিষ্ট না থাকা
৬. দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা
৭. জনসাধারণের ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা

সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সুপারিশ
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ১০ দফা সুপারিশ করেছে:
১. দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে।
২. চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে।
৩. ট্রাফিক আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
৪. মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করতে হবে।
৫. পর্যায়ক্রমে সকল মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে।
৬. গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।
৭. রেল ও নৌপথ সংস্কার করে সড়ক পথের ওপর চাপ কমাতে হবে।
৮. টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন করতে হবে।
৯. ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
১০. গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে।

প্রতিবেদনটি নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে