যশোরের ঝিকরগাছায় অদৃশ্য ক্ষমতার দাপট এবং বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে জমির মাটি খেকো এক চক্র। কোন প্রকার সরকারি অনুমোদন বা নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ফসলী জমি, বিল থেকে হাজার হাজার ট্রাক মাটি কেটে এলাকায় বিভিন্ন ভাটায় বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে এই চক্রের বিরুদ্ধে। প্রতিনিয়ত মাটি বোঝাই ট্রাকের অনিয়ন্ত্রিত চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে কাঁচা পাঁকা সড়ক। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাটি খেকোরা ফসলি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি অবৈধভাবে কেটে জমির উর্বর শক্তি নষ্ট করে দিচ্ছে। ফলে জমিতে কাঙ্খিত মাত্রায় ফসল উৎপাদিত হচ্ছে না। উপজেলা প্রশাসন থেকে অবৈধ ইটভাটা, মাটি ও বালু উত্তোলনে অভিযান পরিচালনা করলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে হায়দার চক্রের প্রধান হায়দার (২৮) সহ আরও কয়েকজন মিলে মাটির রমরমা ব্যবসা করছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। প্রতিবাদ করলে স্থানীয়দেরও হুমকি ধামকি দিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য করছেন এই মাটি খেকোর দল।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচ বছর যাবৎ মাটি কেটে বিক্রি করেন ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের নোয়ালি গ্রামের হায়দার। তিনি ফসলী জমি ও পুকুর খননের নামে মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করেন। কৃষকদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ও মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ করে স্বার্থ হাসিল করেন। শুধু হায়দার নন তার সাথে জড়িত আরও কয়েকজন, মাশোহারা দেন বিভিন্ন মহলকে। এই চক্রে আরও আছে হাজিরালি মহিলা কলেজ মোড়ের সাহেব আলী, ঝিকরগাছা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ইউনুস আলী, পানিসারা ইউনিয়নের কাউরিয়া ঢালিপাড়ার তরিকুল ঢালি, তুহিন হোসেন, আবু সাঈদ, শিমুলিয়া ইউনিয়নের মধুখালি গ্রামের সুনীল ঘোষ, বাঁকড়া অঞ্চলের রাজ্জাক বিশ্বাস, ইয়াকুব, আজিজ শানা, শফি মেম্বার, সুমন, মিন্টু সহ আরও কয়েকজন। এরা সবাই মিলে সমগ্র ঝিকরগাছা উপজেলা ব্যাপী তৈরি করেছে "হায়দার চক্র"। আতঙ্কের নাম হায়দার চক্রটি বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে মাটি ও বালু বিক্রির কাজ করে আসছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, হায়দারকে কেউ কিছু বলতে পারে না। স্থানীয় বা প্রশাসনের কেউ কিছু বলতে আসলে স্থানীয় সংবাদিক বা প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে থাকেন। কি
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাটি ব্যবসায়ী হায়দার আলী বলেন, 'আমি পাঁচ বছর যাবৎ মাটি ব্যবসা করি না। একবছর এই ব্যবসা করি। আমি আর সাইদ এক সাথেই মিলে ব্যবসা করি।'
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভুপালী সরকারকে ফোন দিয়ে পাওয়া না গেলেও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাভিদ সারওয়ার বলেন, 'হায়দার সহ সকলের বিষয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আমার কথা হয়েছে।আমরা দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহন করবো।