শেখ হাসিনার বক্তব্য বন্ধের জন্য ভারতীয় দূতকে তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক
| আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম | প্রকাশ: ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৫:১৯ পিএম
শেখ হাসিনার বক্তব্য বন্ধের জন্য ভারতীয় দূতকে তলব

ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিতর্কিত বক্তব্য ও বিবৃতির কারণে বাংলাদেশ সরকার ভারতের কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মিথ্যা ও বানোয়াট মন্তব্য করছেন বলে অভিযোগ করে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে প্রতিবাদপত্র হস্তান্তর করেছে।  

বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে। প্রতিবাদপত্রে বাংলাদেশ সরকারের গভীর উদ্বেগ, হতাশা এবং গুরুতর আপত্তির কথা তুলে ধরা হয়েছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেন, "শেখ হাসিনাকে প্রতিহত করার বিষয়ে ভারতকে আমরা লিখিতভাবে অনুরোধ করেছি। তিনি যেন এ ধরনের বক্তব্য ও বিবৃতি না দেন, কারণ এটি বাংলাদেশের বিপক্ষে যাচ্ছে। আমরা এখনো এ বিষয়ে কোনো জবাব পাইনি। গত কয়েক দিনের ঘটনাপ্রবাহের কারণে আজ আমরা আবার প্রতিবাদ নোট দিয়েছি।"  

প্রতিবাদপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ হাসিনার বক্তব্য বাংলাদেশের জনগণের অনুভূতিতে আঘাত করছে এবং এটি বাংলাদেশের প্রতি শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড দুই দেশের মধ্যে সুস্থ ও স্থিতিশীল সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে। বাংলাদেশ সরকার ভারতকে অনুরোধ করেছে, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে শেখ হাসিনাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে মিথ্যা, বানোয়াট ও উসকানিমূলক বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।  

গত ৬ মাসে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে। আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা, সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যাসহ নানা ঘটনায় ঢাকায় ভারতীয় কূটনীতিকদের অন্তত চারবার তলব করা হয়েছে। এবার শেখ হাসিনার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।  

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, "শেখ হাসিনার বক্তব্য মিথ্যা এবং এটি বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা উসকে দিচ্ছে। আমরা ভারতকে অনুরোধ করেছি, এই অনুশীলন বন্ধ করার জন্য।"  

এই ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশ সরকার আশা করছে, ভারত এই বিষয়ে দ্রুত ও যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এবং দুই দেশের মধ্যে সুস্থ ও স্থিতিশীল সম্পর্ক বজায় থাকবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে