বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এবার একুশে পদক পাচ্ছেন ১৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক এবং বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। ছয়জনকে মরণোত্তর এই সম্মাননা প্রদান করা হবে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী মনোনীতদের নাম ঘোষণা করেন।
ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ১৯৭৬ সাল থেকে সরকার প্রতিবছর একুশে পদক প্রদান করে আসছে। এই পদক দেশের সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, ভাষা সৈনিক, গবেষক, সাংবাদিক, বিজ্ঞানী, সমাজকর্মীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য প্রদান করা হয়।
এবারের একুশে পদকের মনোনীতরা হলেন:
১. শিল্পকলা (চলচ্চিত্র): আজিজুর রহমান (মরণোত্তর)
২. শিল্পকলা (সংগীত): উস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর), ফেরদৌস আরা
৩. শিল্পকলা (আলোকচিত্র): নাসির আলী মামুন
৪. শিল্পকলা (চিত্রকলা): রোকেয়া সুলতানা
৫. সাংবাদিকতা: মাহফুজ উল্লাহ (মরণোত্তর)
৬. সাংবাদিকতা ও মানবাধিকার: মাহমুদুর রহমান
৭. সংস্কৃতি ও শিক্ষা: ড. শহীদুল আলম
৮. শিক্ষা: ড. নিয়াজ জামান
৯. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: মেহেদী হাসান খান
১০. সমাজসেবা: মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর)
১১. ভাষা ও সাহিত্য: কবি হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর), শহীদুল জহির (মরণোত্তর)
১২. গবেষণা: মঈদুল হাসান
ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য: বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল
সংবাদ সম্মেলনে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, "আমরা খুবই আনন্দিত যে এই বছর বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলকে একুশে পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। এটি তাদের অসাধারণ কৃতিত্বের স্বীকৃতি।" তিনি আরও যোগ করেন, "গুণী মানুষরা পদকের অনেক ঊর্ধ্বে। এই পদক শুধু তাঁদের অবদানের জন্য জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ।"
একুশে পদক বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা, যা স্বাধীনতা পুরস্কারের পরেই অবস্থান করে। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে এই পদক দেশের গুণীজনদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের মাধ্যমে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। এই অর্জন তাঁদের একুশে পদকের জন্য মনোনীত হওয়ার পথ প্রশস্ত করেছে।