ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার চ্যানেল ১৪-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বললেন, সৌদিরা চাইলে নিজেদের ভূখণ্ডেই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গড়তে পারে। সৌদি আরবে পর্যাপ্ত জমি রয়েছে, যেখানে ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি রাষ্ট্র গঠন করা যেতে পারে।
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টি যদি সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পূর্বশর্ত হয় কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি স্পষ্ট করেন যে, ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে এমন কোনো চুক্তিতে তিনি সম্মতি দেবেন না।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রশ্নে আমি কোনো আপস করব না। ৭ অক্টোবরের হামলার পর এটি আরও পরিষ্কার হয়েছে। গাজাই ছিল একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র, যা হামাসের নিয়ন্ত্রণে ছিল। আর এর ফল কী হয়েছে? হলোকাস্টের পর ইহুদিদের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যা ঘটেছে।
এই সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয় নেতানিয়াহুর ওয়াশিংটন সফরের সময়, যেখানে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। সেখানে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করতে চায়।
নেতানিয়াহু সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সম্ভাবনা নিয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, 'ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্যে শান্তি শুধু সম্ভবই নয়, বরং আমি নিশ্চিত এটি শিগগিরই বাস্তবায়িত হবে।'
তবে ট্রাম্পের সঙ্গে নেতানিয়াহুর আলোচনার পরপরই সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়ে দেয়, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত তারা ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের কোনো আলোচনা করবে না।
এদিকে, ইসরায়েলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা দ্য জেরুজালেম পোস্ট-কে জানিয়েছেন, নেতানিয়াহু সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বিনিময়ে গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধ করতে ও পশ্চিম তীরের সংযুক্তি (অ্যানেক্সেশন) বিলম্বিত করতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।