রাজশাহীর তানোরে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করে বিপাকে পড়েছে ভুক্তভোগী আদিবাসী এক নারী। অভিযুক্ত বখাতে আমিনুল ইসলাম (৩২) মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত ভিকটিমকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়াসহ গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেবার ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এতে নিরুপাই হয়ে সম্প্রতি ৩ ফেব্রুয়ারী তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ওই নারী। কিন্তু ৫ দিনেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে ওই নারী তার সংসারের বিভিন্ন কাজে ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। এতে বিপাকে পড়েছে পরিবারটি। তবে, এমন অভিযোগ পেয়ে থানাপুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলে জানান ইউএনও খায়রুল ইসলাম। মামলার এজাহার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির নোনাপুকুর গ্রামের বাসিন্দা জাদের আলীর বখাটে পুত্র আমিনুল ইসলাম জৈনক এক আদিবাসির স্ত্রীকে পথে ঘাটে ও জমির মাঠে বিভিন্ন সময়ে উত্যক্ত করে যৌন হয়রানি ঘটিয়ে আসে। সম্প্রতি গত বছরের ১৯ অক্টোবর বাড়ি হতে ৫০০ ফিট দূরে ধানী জমির পুকুর পাড়ে চুলার খড়ি কাটতে যান ওই আদিবাসী নারী। এসময় বখাতে আমিনুল ওই নারীকে বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি ঘটিয়ে উত্যক্ত করে কু-প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হলে তাকে জাপটে ধরে পড়নের কাপড় টেনে হেচড়ে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করে আমিনুল। তার এমন কাজে বাধা দিলে ওই নারীকে মারপিট করাও হয়। ফলে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলাফুলা কালশিরা জখম হয়। এসময় ওই নারীর ডাক চিৎকারে হত্যার হুমকি দিয়ে লম্পট আমিনুল পালিয়ে যায়। ওই নারী ও তার স্বামী বলেন, ঘটনাটি নিয়ে ওই সময় থানায় অভিযোগ করা হয়। কিন্তু মিমাংসার কথা বলে মেম্বার ও চেয়ারম্যান কালক্ষেপন করে। পরে বিষয়টি নিয়ে লম্পট আমিনুল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থানাপুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তারা আরও জানান, পরে নিরুপাই হয়ে গ্রামবাসির পরামর্শে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারী বখাতে আমিনুল ইসলামকে আসামী করে রাজশাহী জেলার বিজ্ঞ তানোর আমলী আদালতে মামলা করা হয়। যার মামলা নম্বর-৩৯সি/২৫। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত থানাকে ব্যবস্থা নিতে নিদের্শ দেন। এমন নির্দেশে থানাপুলিশ বৃহস্পতিবার সাদা পোশাকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এবিষয়ে অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি নিয়ে লফর মেম্বার বসে সমাধানের জন্য বলেছে। কিন্তু তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। এজন্য তার মা সানুয়ারা বিবি আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি ফায়সালা করতে চাই মর্মে দম্ভোক্তি দেখান তিনি। তবে, ব্যাপারটি নিয়ে তানোর থানার ওসির সরকারি মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও রিসিভ হয়নি। পরে রাজশাহীর সহকারী পুলিশ সুপার গোদাগাড়ী সার্কেল মীর্জা মো. আব্দুস ছালামকে ফোন দেয়া হলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে অবগত নন। এরপরও যদি বিজ্ঞ আদালতে মামলা হয়ে থাকে থানাপুলিশ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানান পুলিশের এই উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। ই/তা