ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দিনে ১৩৩ ট্রাক ফল আমদানি হয়েছে। আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফল আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার মো. শাহাদাৎ হোসেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ৭০ ট্রাক এবং শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা পর্যনÑ ৬৩ ট্রাক আমদানিকৃত তাজা ফল পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। ফল আমদানিকারক আব্দুল মান্নান জানান, গত ৯ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নতুন এক নির্দেশনায় ফল আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করে। সেক্ষেত্রে কেজিপ্রতি শুল্ককর ১৫ টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ১১৬ টাকা। ফলে অতিরিক্ত শুল্কারোপের কারণে গত ২৯ জানুয়ারি বেনাপোলসহ সারা দেশের শুল্ক স্টেশন দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেয় 'বাংলাদেশ ফ্রেস ফ্রুটস ইমপোর্টস' অ্যাসোসিয়েশন। ধর্মঘটের কারণে মঙ্গলবার ও বুধবার এ স্থলবন্দর দিয়ে দু-দিন ফল আমদানি বন্ধ ছিল। সাধারণ ক্রেতাদের দূর্ভোগের কথা চিনÑা করে দুইদিন পর পুনরায় ফল আমদানির সিদ্ধানÑ নিয়েছে। তবে ফল আমদানিকারকদের দাবি। বর্ধিত শুল্ক আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রত্যাহার না করলে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ রাখবে বলে তারা জানিয়েছে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আলহাজ মহসিন মিলন জানান, ফলের মূল্য বৃদ্ধি রোধে এবং সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে আবার ফল আমদানির সিদ্ধানÑ নিয়েছে ব্যবসায়ীরা। ফল আমদানি শুরু হওয়ায় বেনাপোল বন্দরে কর্ম-চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে এবং ফলের দাম কমতে শুরু করেছে বাজারে। তিনি জানান, বেনাপোল দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে প্রায় একশো থেকে দেড়শো ট্রাক ফল আমদানি হয়। দুইদিন ফল আমদানি বন্ধ ছিল। ফলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পাশাপাশি সরকারের প্রায় একশো কোটি টাকা রাজস্ব আয় কম হয়েছে। ভারত থেকে যে সব খাদ্যদ্রব্য আমদানি হয়, তার মধ্যে একটি অংশ রয়েছে আপেল, আঙুর, কমলা, মাল্টাসহ বিভিন্ন প্রকারের তাজা ফল। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার শাহাদাৎ হোসেন জানান, দুইদিন বন্ধ থাকার পর ভারত থেকে ১৩৩ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের তাজা ফল আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত ফলের চালান দ্রুত খালাস হয়েছে।