১০ ফ্রেরুয়ারী, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের পবাহার গ্রামে সেচ বিধিমালা লঙ্ঘন করে মাত্র ৪শ ফিটের মধ্যে একজনকে অগভীর নলকূপ স্থাপনের লাইসেন্স প্রদান করায় জুয়েল রানা নামের একজন কৃষক উপজেলা সেচ কমিটি ও অপর কৃষক কাওছার রহমানের বিরুদ্ধে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেছেন। তিনি নিয়মবহির্ভূত ভাবে দেয়া লাইসেন্সের মাধ্যমে উক্ত এলাকায় সেচকার্য চালানো বন্ধ করতে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এ মামলাটি করেন। মামলা নং-১/২৫ অন্য। মামলা সুত্রে জানা যায, উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের পবাহার গ্রামের মৃত-মোজাম্মেল হোসেনের পুত্র জুয়েল রানা নিজ জমিতে সেচ কার্য পরিচালনার জন্য পবাহার মৌজার ২৫৩নং দাগের জমিতে প্রথমে ডিজেল চালিত ইঞ্জিন স্থাপন করেন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের ২৫শে মে বিধি অনুযায়ী জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পাঁচবিবি জোনাল অফিস হতে সংযোগ গ্রহণ করে অদ্যবধি সেচ কার্য পরিচালনা করে আসছেন। সে সময় অগভীর নলকূপ স্থাপনে সেচ লাইসেন্স বাধ্যবাধকতা না থাকায় তিনি লাইসেন্স গ্রহণ করেন নি। তবে পরবর্তীতে লাইসেন্সের বিষয়টি অবগত হলে ২০২৩ সালে সেচ লাইসেন্সের জন্য উপজেলা সেচ কমিটি বরাবর আবেদন করেন। কিন্তুু তাকে লাইসেন্স না দিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আদেশ উপেক্ষা করে ১৫/১৬ বছর আগে জুয়েল রানার স্থাপন করা অগভীর নলকূপের মাত্র ৪শ ফুটের মধ্যে কাওছার রহমান মন্ডল নামের এক ব্যক্তিকে অগভীর নলকূপের লাইসেন্স প্রদান করেন। যা সেচ নীতিমালা বর্হিভূত। জুয়েল রানা বলেন, তিনি লাইসেন্সের জন্য দীর্ঘদিন ধরে সব দপ্তরে ঘুরেছেন। কিন্তু তার আবেদন আমলে না নিয়ে তৎকালীন সেচ কমিটির যোগসাজশের মাধ্যমে কাওছারকে লাইসেন্স প্রদান করে। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি মামলা করেছেন । উল্লেখ্য যে, ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা বিধি মালা ১৯৮৭ এর ৫(২) ঙ বিধিতে বর্ণিত তফশিল ১ এর অনুচ্ছেদে ৫ এর অন্তর্ভুক্ত দুটি নলকূপের মধ্যে নুন্যতম দুরত্ব নীতি বাতিল করে সেচযন্ত্রের ক্ষমতা ভিত্তিক দুরত্ব বজায় রেখে সমগ্র বাংলাদেশে কৃষি মন্ত্রনালয় ২০১৯ সালের ২৫শে মে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেন। উক্ত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সমগ্র বাংলাদেশে গভীর ও অগভীর নলকূপের ক্ষমতা ভিত্তিক দুরত্ব দুটি গভীর নলকূপের ক্ষেত্রে ২.০-২.০ কিউসিক। যার দুরত্ব ৮০০ মিটার বা ২৬২৪ ফুট এবং গভীর নলকূপ থেকে অগভীর নলকূপের দুরত্ব ৫০০ মিটার বা ১৬৪০ ফুট। আর অগভীর নলকূপ থেকে অগভীর নলকূপের দুরত্ব ১২১০ ফুট। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুল হাসান বলেন, আদালতে মামলার বিষয়ে এখনো অবগত হইনি। পেলে সেচ কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।