জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার গাওকুরা কাচারী পাড়ার বাসিন্দা সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর গানম্যান পুলিশ সদস্য বিপি নং ৭১১১০৪৭২৪৬ রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে।
অত্যাচারের অভিযোগ করেছেন তারই বড়ভাই. মাসুদ করিম পারভেজের। পুলিশ সদস্যের এমন অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন তার মা ভাই বোন স্বজনেরা। ভুক্তভোগী মাসুদ করিম জানায়, আমার বাবার মৃত্যুর পর তাঁর রেখে যাওয়া সম্পত্তি চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে বন্টন করা হয়। পরে এক ভাই এনামুল করিম তার সম্পত্তি বিক্রয় করায় আমি তার সম্পত্তি কিনে নেই। কিন্তু ছোট ভাই পুলিশ সদস্য মো. রেজাউল করিম সে পুলিশের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ওই জমি জোর পূর্বক বেদখল করে নেয়। এ নিয়ে পৌরসভার মেয়রসহ স্থানীয় গনমান্য ব্যক্তিবর্গরা অনেক চেষ্টা করেও কোন সমাধান করতে পারেনি। পরে বাধ্য হয়ে বড় ভাই মাসুদ করিম মা জেবুন আক্তার, বোন শিল্পিী বেগম ও চাচা সরোয়ার হোসেন এ সংক্রান্ত বিষয়ে জামালপুর পুলিশ সুপার বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হলেও কোন প্রতিকার পাননি তারা। ফলে জোরপূর্বক বেদখলকৃত জমি ফেরত পেতে বাধ্য হয়ে বড়ভাই মো. মাসুদ করিম আদালতে ১৫৩ (১) ২০২১ নং একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ সদস্য মো. রেজাউল করিম ছুটি নিয়ে বাড়ি এসে ক্ষিপ্ত হয়ে বড় ভাই মাসুদ পারভেজ তার বোন ও মাকে মারধর করেন।
পরে বিজ্ঞ আদালত ২০২৩ সালে ৩০ নভেম্বর পুলিশ সদস্য মো.রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৫০৬ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ১৫ দিনের জেল ও তিন হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেয় বিজ্ঞ আদালত। কিন্তু আদালতের রায়কে উপেক্ষা করে পুলিশ সদস্য মো. রেজাউল করিম এখনও স্বপদে বহাল থেকে দাপটের সাথে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন।
বড় ভাইয়ের জমি ফেরত পেতে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে চাচা সরোয়ার হোসেনের অভিযোগ'পুলিশ সদস্য রেজাউল করিম একজন খারাপ প্রকৃতির লোক। সে আমার কাছ থেকে ১০ শতাংশ জমি ১২ লক্ষ টাকা দাম নির্ধারণ করে কিনে নিয়ে মাত্র ৭৫ হাজার টাকা নগদ দেয়। অবশিষ্ট ১১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার একটি ব্যাংকের চেক দিয়ে জমিটি রেজিস্ট্রি করে নেয়। পরে আমি ওই চেক ব্যাংকে জমা দিলে তার একাউন্টে টাকা না থাকায় চেকটি ডিজনার হয়। এ ঘটনায় চেকের টাকা না পেয়ে বাধ্য হয়ে চাচা সরোয়ার হোসেন তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে পুলিশ সদস্য রেজাউল করিমের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেছেন।