বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি: তদন্ত প্রতিবেদন ১৭ এপ্রিল

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৫:১৩ পিএম : | আপডেট: ৩ মার্চ, ২০২৫, ০৭:৩১ পিএম
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি: তদন্ত প্রতিবেদন ১৭ এপ্রিল

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৭ এপ্রিল নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগরীর অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ দিন ধার্য করেন। 

২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি, একটি সুইফট কোড জালিয়াতি মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এরপর ওই অর্থ ফিলিপিন্সে পাঠানো হয়েছিল। সন্দেহ করা হচ্ছে, দেশের অভ্যন্তরের কোনো একটি চক্রের সহায়তায় এই অর্থ পাচার করা হয়েছিল। মামলার তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকেই একাধিক তদন্ত সংস্থা ও কর্মকর্তার পরিবর্তন ঘটেছে, যার ফলে মামলা জটিলতায় পড়ে গেছে। 

এই ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় প্রথমে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের আওতায় অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে, তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকেই একাধিকবার সময় চাওয়া হয়েছে এবং বিভিন্ন তদন্ত সংস্থা দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। 

এখন পর্যন্ত সিআইডি তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে, তবে বারবার সময় বৃদ্ধির কারণে প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছানো হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর, সরকারের এক সিদ্ধান্তের পর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সিআইডির কাছে তদন্তের দায়িত্ব গ্রহণ করতে চেয়েছিল, তবে এখন পর্যন্ত সে বিষয়ে সিআইডির পক্ষ থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট জানানো হয়নি। 

মামলার সূত্রে জানা যায়, চুরি হওয়া এই অর্থ ফিলিপিন্সের তিনটি ক্যাসিনোতে চলে যায়। এর মধ্যে এক ক্যাসিনো মালিকের কাছ থেকে দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করা হলেও, বাকি ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার এখনো উদ্ধার করা যায়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক, আশাবাদী ছিল যে চুরি হওয়া অর্থ আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার করা হবে। 

২০১৯ সালে, বাংলাদেশ ব্যাংক নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটন সাদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মামলার আবেদন করেছিল, তবে ২০২২ সালে আদালত রায়ের মাধ্যমে ওই মামলা খারিজ করে দেয়। এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ ব্যাংক আবারও নিউ ইয়র্কের ‘এখতিয়ারভুক্ত’ আদালতে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

এখনো পর্যন্ত মামলার তদন্তের কোনো স্থিতিশীল অগ্রগতি না হওয়ার পর, জনগণের মধ্যে এই তদন্তের ফলাফল নিয়ে উৎকণ্ঠা রয়ে গেছে। আগামী ১৭ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত হতে পারে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা। 

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে