বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়ে বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বহুল আলোচিত বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
পরিদর্শন শেষে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সবক্ষেত্রে আইয়্যামে জাহেলিয়াত প্রতিষ্ঠা করে গেছে আওয়ামী লীগ সরকার। যারা এমন অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার করা হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও যোগ করেন, এই আয়নাঘরের নৃশংসতার কথা যত শুনি অবিশ্বাস্য লাগে। এটা কি আমাদেরই জগত, আমাদের সমাজ। যারা নিগৃহীত হয়েছে, যারা নৃশংসতার শিকার হয়েছে, তারাও আমাদের সঙ্গে আছে। তাদের মুখ থেকে শুনলাম কীভাবে এখানে নির্যাতন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিনা কারণে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে আসা হতো। বিনা দোষে কতগুলো সাক্ষী হাজির করে তাদেরকে বানিয়ে দেয়া হতো জঙ্গি। এরকম টর্চার সেল সারা বাংলাদেশ জুড়ে আছে বলেও আজকে শুনলাম।
ভুক্তভোগীর সংখ্যা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছি। ভুক্তভোগীর সংখ্যা আমার জানামতে প্রায় সাড়ে ১৭'শ। অজানা কত সেটাতো আর জানি না। কেউ কেউ বলছেন এটা ৩ হাজারেরও বেশি হতে পারে।
দেশের বিভিন্ন জাগায় আরও আয়নাঘর আছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজ শুনলাম আয়নাঘরের বিভিন্ন ভার্সন সারা বাংলাদেশ জুড়ে আছে। কেউ বলছে ৭০০, কেউ বলছে ৮০০। এটির সংখ্যাও নিরুপণ করা যায় না।
তিনি বলেন, গত সরকার আইয়্যামে জাহেলিয়াত প্রতিষ্ঠিত করে গেছে সবক্ষেত্রে। আয়নাঘর তার একটা নমুনা। কীভাবে একটি দেশকে সবদিক থেকে ধ্বংস করা যায়, একেবারে সামান্যতম যে মানবিক অধিকার, সেটুকু থেকেও বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল।
আয়নাঘরের সন্ধান পাওয়া এসব স্থাপনা সিলগালা করা হবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।