জামালপুরের মেলান্দহে শব্দ কমিয়ে মাইক বাজানোর অনুরোধের জেরে জামালপুর জেলা হেফাজতে ইসলামের নির্বাহী সভাপতি মুফতি শামসুদ্দিনকে মারধরের ঘটনায় ১২ ফেব্রুয়ারি বাদ জোহর বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আলেম সমাজ ও তৌহিদি জনতা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন-জামালপুর জেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাও. আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক মাও. মোহাম্মদ আলী খান, সহ সম্পাদক মাও. ফরিদ উদ্দিন, বায়তুন্নুর জামে মসজিদের খতিব মাও. ইকরামুল্লাহ, ইত্তেফাকুল ওলামা মেলান্দহ শাখার সভাপতি মাও. রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মুফতি সোলায়মান, ইসলামি আন্দোলন মেলান্দহ শাখার সভাপতি হাফেজ-মাও. বুরহান উদ্দিন প্রমুখ। সমাবেশে বক্তাদের অভিযোগ, ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ১০/ ১১টার দিকে মেলান্দহ থানা বাউন্ডারি সংলগ্ন পুরনো নাংলা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উচ্চ শব্দে মাইক বাজানো হচ্ছিল। এতে পাশের মাদ্রাসাসহ কয়েক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবাসিক শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসিকে অতিষ্ট করা হচ্ছিল। একপর্যায়ে মেলান্দহ কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব মুফতি ইকরামুল্লাহ, জামেয়া হুছাইনিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম ও জামালপুর জেলা হেফাজতে ইসলামের নির্বাহী সভাপতি মুফতি শামসুদ্দিনের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের আলেম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজক কয়েকজনকে অন্য স্থানে ডেকে মাইকের সাউন্ড কমানোর অনুরোধ জানান।
এতে মেলান্দহ পৌর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনসহ কয়েকজনে উত্তেজিত হয়ে ওই আলেমদেরকে কটাক্ষ করে অপদস্ত করা হয়। এতেই শেষনয়, মুহুর্তেই ৮/১০ জনে সংঘবদ্ধ হয়ে মুফতি শামসুদ্দিনসহ আগত আলেমদের মারধর করেছে। মুহুর্তেই খবরটি চারদিক ছড়িয়ে পড়লে অন্যান্য আলেমরা ক্ষুব্দ হন। পরদিন সকাল থেকেই আলেম সমাজ ও তৌহিদি জনতা হুছাইনিয়া মাদ্রাসায় জমায়েত হয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি বাদ জোহর প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেন। এলাকায় মাইকিং করতে থাকে। উত্তপ্ত রিস্থিতিতে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রহিম এবং নূরুল আলম সিদ্দিকীসহ বেশ ক’জন বিএনপি’র দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ হুছাইনিয়া মাদ্রাসায় আলেমদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে বিএনপি’র সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল জানান-আলেম সমাজের সাথে এহেন আচরণকারিদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রকৃত দোষিদের সনাক্তের সংগঠনের পক্ষ লোক কাজ করছেন। অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান-এখনো কেও অভিযোগ করেনি।