সরকারি কেশব চন্দ্র (কেসি) কলেজ ক্যাম্পাসে হয়ে গেল তারুণ্য উৎসব-২০২৫। এ উপলক্ষে বুধবার ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য আয়োজন ছিল। এসব স্টলে কেউ এসে পিঠা কিনছেন, কেউ পিঠার ছবি তুলছেন। আবার বন্ধু-বান্ধবের আড্ডাও চলেছে। এছাড়া ক্যাম্পাস থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিতে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।কলেজ ক্যাম্পাসের প্রবেশ পথে একটি স্টল প্রথমেই নজরে আসে কেবলমাত্র নামের কারণে। সেই নামটি ‘মুগ্ধ’।স্টলের নাম ‘টিম-মুগ্ধ’।স্টলে মিষ্টি-মন্ডা না থাকলেও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সব স্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। স্টলের এক পাশে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দমন-পীড়ন ও হত্যাযজ্ঞের ভিডিও চিত্র প্রদর্শন চলে। ক্যাম্পাসের পূর্বপাশে বসানো হয় পিঠা মেলার বাহারি স্টল। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলি স্থান পায় স্টলগুলোতে। শিক্ষার্থী সুরাইয়া তানিন, ফাহাদ, আঁখি খাতুন, নুসরাত, সাথী, হুরায়রা নিজেদের তৈরি পিঠা নিয়ে স্টল সাজান। রাষ্ট্র্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাকিব ও হৃদয় আহমেদ বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও পিঠামেলা জাঁকজমক ভাবে শুরু হয়েছে। নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে এবার শিক্ষার্থীরা ভয়হীন ভাবে উৎসব পালন করেছে।কলেজের প্রানীবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক আলমগীর হুসাইন বলেন, গগ্রামীনজনজীবনের রূপ আমরা শহরের পরিবেশে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সব ছাত্র প্রতিনিধিরা এই আয়োজন সফল করতে কাজ করেছেন। সরকারি কেশবচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসার ড. মোঃ আবুবকর সিদ্দিকী বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বসন— বরণ উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী পিঠামেলা ও বসন্তবরণ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। তবে এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। তারুণ্য উৎসব ২০২৫ উপলক্ষে এবারের আয়োজনে ভিন্নতা এসেছে। প্রধান অথিথি থেকে পিঠামেলা ও বসন্ত উৎসবের উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেসি কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর ইউনুস আলী, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহা. আব্দুল মতিন। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ইমরান কবির।আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সাইদুর রহমান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নুসরাত জাহান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল।রাহ আল মামুন, ছাত্রদলের আহ্বায়ক শিমুল আল মাসুদ, ছাত্রশিবিরের সভাপতি এসএম মাহবুব ইসলাম।