কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলায় কুয়েত প্রবাসী সুমন মিয়া (৩২) এর নিকট চাঁদা না পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে তার হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করেছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৪টায় কুমিল্লা দক্ষিন মডেল থানাধীন চট্টগ্রাম হোটেলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রবাসী সুমনের পিতা আবুল কালাম (৫০) বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারী) সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলো- সদর দক্ষিণ উপজেলার শ্রীবল্লভপুর গ্রামের ওয়াজ উদ্দিনের পুত্র মাদক সম্রাট জাহাঙ্গীর আলম (৪০), হিরপুর এলাকার মনা (৪৫), নুর ইসলামের পুত্র রাসেল (৩০), শাকতলা এলাকার মো: ভুট্টু (২০), শ্রীভল্লবপুর এলাকার মো: আলামিন (৩০)সহ অজ্ঞাত ২/৩ জন। এদিকে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার সুমনের পিতার মাংসের দোকান ভাংচুর করেছে সন্ত্রাসীরা।বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়- গত ২৯ জানুয়ারী কুয়েত থেকে দেশে আসেন প্রবাসী সুমন মিয়া (৩০)। মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম তার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এতে ক্ষিপ্ত হয় মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর। এরই জের ধরে গত ১১ ফেব্রুয়ারী বিকাল সাড়ে ৩টায় সুমন বাড়ি থেকে কুমিল্লা পদুয়ার বাজার উদ্দেশ্যে রওনা করলে সদর দক্ষিণ থানাধীন চট্টগ্রাম হোটেলের সামনে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে ৮/১০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা দা, ছেনি, ছুরি, ছাপাতি, লাঠি, রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে তার পথরোধ করে। এ সময় তাকে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ী কোপাতে থাকে। সে নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে তার হাতে ছেনির কোপ লাগে। এতে তার রক্তাক্ত জখম হয়। সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ী ভারী রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে কুপাতে থাকে।পরে তার চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরসহ সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে আহত সুমনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া য। ঘটনার পর মঙ্গলবার রাতে সদর দক্ষিণ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল (১২ ফেব্রুয়ারী) বুধবার বিকাল ৪টার সময় সুমনের পিতা আবুল কালামের পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড মাংসের দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে। এতে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরসহ সন্ত্রাসীরা। এ বিষয়ে আবুল কালাম বলেন- আমার ছেলে সুমন কুয়েত থেকে দেশে আসার পর মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আমার ছেলের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। এতে না দেয়ার কারণে সে আমার ছেলের উপর হামলা ও আমার মাংসের দোকান ভাংচুর করেছে।