কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গুলি করে যুবক হত্যার ঘটনার জের ধরে প্রতিপক্ষের মহিষের বাথান থেকে ৪৬ টি মহিষ লুট করা হয়েছে। লুট হওয়া মহিষ বাথানের মালিক সাইদ মন্ডল ও তার স্ত্রীর অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, মঙ্গলবার ভোররাতে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর মন্ডলপাড়া পদ্মার চরে সাইদ মন্ডলের মহিষের বাথান থেকে রাখালদের মারপিট ও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৪৬টি মহিষ লুট করে নিয়ে যায় সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান ও তার লোকজন। এসময় তারা মহিষের রাখাল মাজদার আলী (৫০), কামাল হোসেন (৩৫) ও সৈকত (৩৫) কে বেধড়ক মারপিট করে ও অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে পার্শ্ববতী রহিমপুর মাঠে নিয়ে আটকে রাখে। বাথানের মহিষসহ মহিষের রাখালদের অপহরণ করা হয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে বুধবার বেলা ১১দিকে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মহিষের রাখালদের উদ্ধার করে। তবে লুট হওয়া ৪৬টি মহিষ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। মহিষগুলি লুট করার পর পরই তারা ট্রাক ভর্তি করে অন্যত্র পাচার ও বিক্রয় করে দিয়েছে বলে অভিযোগে করা হয়েছে। লুট হওয়া ৪৬টি মহিষের মূল্য ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা উল্লেখ করে কুষ্টিয়া সেনা ক্যাম্প, পুলিশ সুপার ও র্যাবের কাছে অভিযোগ দিয়েছে মহিষের বাথান মালিক সাইদ মন্ডলের স্ত্রী তমা খাতুন। অভিযোগে মরিচা ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান (৬০) কে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে বাথানের মহিষ লুটের অভিযোগ অস্বীকার করে মরিচা ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, আমি মঙ্গলবার লাশের ময়নাতদন্ত সহ লাশ নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত ছিলাম। এলাকার খারাপ লোক এমন কাজ করেছে কিনা আমার জানা নেই। আপনারা যাচাই করে দেখেন। মহিষ লুটের অভিযোগের বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হুদা বলেন, এমন খবর পেয়ে সাকালে ঘটানস্থলে পুলিশের একটি টিম গিয়েছিল। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। উল্লেখ্য, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর মন্ডলপাড়া ঘাটের নীচে পদ্মার চরে রাজু (১৮) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করে দূবৃর্ত্তরা। নিহত রাজু একই ইউনিয়নের বৈরাগীরচর ভাঙ্গাপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম প্রামানিকের ছেলে। এ ঘটনার পর চরে সাইদ মন্ডলের বাথান বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাথানের ৪৬টি মহিষ লুট করা হয়।