বাংলাদেশের জনগণের টাকা লুটপাট করে দেশের বাইরে পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের ওপর জুলুম-শোষণ-নির্যাতন চালিয়ে, দেশের সম্পদ লুট এবং জনগণের রক্ত চুষতে, একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন রিজভী। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে এ কর্মসূচি আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার জনগণের নার্ভ বুঝতে পেরেছে যে, জনগণ আওয়ামী দুঃশাসনের কারণে তাদের ঘৃণা করে। আর ঘৃণা করার প্রতিশোধের অংশ হিসেবে ধারাবাহিক জুলুম চালানো হচ্ছে জনগণের ওপর। সেটিরই আরও একটি নির্মম বহিঃপ্রকাশ ভোক্তাপর্যায়ে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি।
দেশজুড়ে লুটপাট চলছে দাবি করে রিজভী বলেন, জনগণের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে অবৈধ অর্থ উপার্জন করে সরকারের লোকজন আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠছে। আর এই অনৈতিক সুযোগ করে দিচ্ছে সরকার।
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করা না হলে, জনগণের উত্তাল আন্দোলন ও ক্ষোভে-বিক্ষোভে বিএনপি শামিল হতে দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ।
সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বর্তমান মধ্যরাতের ভোটের সরকার জনগণের ভোটে বিশ্বাসী। তাই তারা জনগণ নয় বরং নিজেদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের নীতিতেই বিশ্বাস করে। সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা এখন স্বৈরশাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসন যন্ত্র ও দলীয় সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশে ভয়াবহ নব্য বাকশালী দুঃশাসন জারি রাখা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশের জনগণ যাতে বর্তমান অবৈধ সরকারের এ জুলুমের শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে না পারে, সেজন্য তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারান্তরীণ করা হয়েছে। কিন্তু জনগণ কোনদিনই তা বাস্তবায়িত হতে দেবে না। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে মানুষের মৌলিক মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে জাতীয়তাবাদী শক্তি দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।
এরআগে, সকাল ১০টায় মহিলা দলের নেতাকর্মীদের একটি বিক্ষোভ মিছিল বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।