পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি বলেছেন কারিগরি সমস্যার কারণে সিলেটের জকিগঞ্জে নির্মিত শরীফগঞ্জ পাম্প হাউসটি চালু করা যাচ্ছে না। খুব শিগগিরই প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করে তা চালু করা হবে। গতকাল শনিবার মন্ত্রী জকিগঞ্জের সুরমা-কুশিয়ারা নদী ভাঙ্গন ও শরীফগঞ্জ পাম্প হাউস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আপার সুরমা-কুশিয়ারা প্রকল্পের অধিনে প্রায় শতকোটি টাকা ব্যয়ে শরীফগঞ্জ পাম্প হাউস ও রহিমপুরী খাল খনন কাজ শুরু হয় ২০১০ সালের ১৯ জুন। প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০১৬ সালে। গত ৩ বছরেও প্রকল্পটি চালু না হওয়ায় এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকা দেখা দিয়েছে। আগাম বন্যা থেকে আউস ফসল বাচানো, নিশ্চিন্তে বুরো উৎপাদনসহ জলবায়ুর প্রভাব থেকে ফসল সুরক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড বৃহত্তর সিলেটের এই বৃহৎ এই কৃষি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন কাজ শুরু করে। প্রায় ৩৫টি কোটি টাকা ব্যয়ে পাম্প হাউস, খালখননসহ সার্বিক ব্যয় হয়েছে প্রায় শত কোটি টাকা। কাজটি বাস্তবায়িত হলে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমি চাষাবাদের আওতায় আসবে বলে পাউবো জানায়। ২০১৬ সাল থেকেই খালের সাথে নদীর সংযোগস্থলটির কাজ বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় বারঠাকুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহসিন মর্তুজা চৌধুরী জানান, কুশিয়ারা নদীর সাথে খালটির সংযোগে বাঁধা দিচ্ছে বিএসএফ। ফলে ১২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ পকল্প বৃহৎ প্রকল্পটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজন কুমার সিনহা জানান, বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে রবিবার ভারতের শিলচরে একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
শনিবার দুপুর ১টার দিকে জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন চৌধুরী,কানাইঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মোমিন চৌধুরী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজন কুমার সিংহ শাহগলী এলাকায় প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে উপজেলার সুরমা-কুশিয়ারা নদীর বিভিন্ন ঝূঁকিপূর্ণ বাঁধ ও নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় পরিদর্শনে নিয়ে যান।
পরিদর্শন শেষে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী লেঃ কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক এমপি বলেন, কুশিয়ারা নদীর বাঁধ নির্মান ও নদী খননের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় প্রকল্প তৈরী করা হয়েছে। প্রকল্পটি পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে একনেকে উত্তাপনের পর প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমোদনের জন্য দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মাহফুজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী উত্তর-পুর্বাঞ্চল নিজামুল হক, জকিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডিও মনির হোসেন, এসও সেলিম আহমদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুস সবুর, বারহাল ইউপির চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এমএজি বাবর প্রমূখ