সারা দেশে এডিস মশার আক্রামনে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের পরিমান বেশী হলেও ঝালকাঠিতে এর প্রভাব বেশী একটা পরেনি। তবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত বেশীর ভাগই রাজধানী ঢাকাতে। প্রায় ২ মাসে ঝালকাঠি জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রামনে স্বীকার হয়ে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৮৭জন। এর মধ্যে ৮৩জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে গিয়েছে। আর ভর্তি রয়েছে ৪জন। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করার জন্য এনএস-১ এন্টিজেন্ট টেষ্ট কিডস পর্যাপ্ত রয়েছে। এরমধ্যে রাজাপুর উপজেলায় আক্রান্তের পরিমান বেশী বলে জানাগেছে। কিন্তু ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে জেলার রাজাপুর উপজেলার ২জন ডেঙ্গুতে মারা গেছেন। এদের মধ্যে একজন ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে বাড়ি থেকে হাসপাতালে নেয়ার পথে এক মহিলা ও অপর এক শিশু ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ঝালকাঠির কোন সরকারী হাসাপাতালে কোন রোগী মারা না যাওয়ায় তাদের কোন পরিসংখ্যান ঝালকাঠি সিভিল সার্জন কার্যলয়ে নেই। সরকারী হাসপাতালে ফ্রী’তে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। সরকারী হাসপাতাল ছাড়াও রাজাপুরের সোহাগ ক্লিনিক নামে একটি ক্লিনিক বেসরকারীভাবে ভাবেও ডেঙ্গু সনাক্ত করার ব্যবস্থা রয়েছে।
ডা. শ্যামলা কৃষ্ণ হাওয়াদার বলেন, ডেঙ্গুর প্রোকোপ বাড়তে থাকায় ঝালকাঠিতে বেশ সতর্ক অবস্থায় থাকায় বড় ধরনের কোন দূর্ঘটনা ঘটেনি। ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করার এনএস-১ এন্টিজেন্ট টেষ্ট কিডস ঝালকাঠিতে পর্যাপ্ত পরিমান মজুদ রয়েছে বলেও জানান জেলা সিভিস সার্জন। তিনি বলেন ২৪ ঘন্টার অধিক সময় ধরে কোন পাত্রে পানি জমে থাকলে এডিস মশা জন্ম নেয়। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালের জুন-জুলাই- আগস্ট মাসে এডিস মশার প্রকোপ বেশী দেখা যায়। টেম্পারেচার কমার সাথে সাথে অর্থাৎ অক্টোবর নভেম্বরে এডিস প্রজনন কমে যায়। এডিশ মশার আক্রামন থেকে রক্ষা পেতে মশারী টানিয়ে থাকতে হবে।