রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্স অডিটরিয়ামে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সম্মানিত পুলিশ কমিশনার মোঃ মনিরুজ্জামান বিপিএম-বার, পিপিএম-বার এঁর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ সায়ফুজ্জামান ফারুকী; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এ- অপস) উত্তম কুমার পাল পিপিএম; উপণ্ডপুলিশ কমিশনার (ডিবি) (অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান; উপণ্ডপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মোঃ আবু মারুফ হোসেন পিপিএম-সেবা; উপণ্ডপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মেনহাজুল আলম পিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত উপণ্ডপুলিশ কমিশনারবৃন্দ, সহকারী পুলিশ কমিশনারবৃন্দ, অফিসার ইনচার্জ এবং অন্যান্য পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সম্মানিত পুলিশ কমিশনার চুরি মামলার তথ্য উদঘাটনসহ চোরাই মাল উদ্ধার, সর্বোচ্চ মাদক উদ্ধার, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল, পারফরম্যান্সের সার্বিক বিবেচনায় এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ অবদানের জন্য গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্ন রাঙ্কের ২২ জন পুলিশ সদস্যকে মানি রিওয়ার্ড ও সার্টিফিকেট প্রদান করেন এবং প্রশংসিত কাজে পুরস্কৃত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের প্রতি শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এরপর রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ০৬টি থানার (কোতোয়ালি, পরশুরাম, হারাগাছ, মাহিগঞ্জ, তাজহাট ও হাজীরহাট) কার্যবিবরণী উপস্থাপন করা হয়। এ সময় কমিশনার সম্মুখে মেট্রোপলিটন এলাকার ০৬টি থানার রুজুকৃত, মুলতবি এবং নিষ্পত্তিকৃত মামলা, আসামি গ্রেপ্তার, অধিকতর তদন্ত, কোর্ট পিটিশন মামলা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা, অপমৃত্যু মামলা, মাদকদ্রব্য সম্পর্কিত মামলা, ধর্ষণ মামলা, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল, সিডিএমএস আপডেট, এনইআর সংক্রান্ত বিষয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরে পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড এর মাধ্যমে প্রদর্শন করানো হয় এবং এ নিয়ে কমিশনার উপস্থিত সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে বিশদ আলোচনা করেন এবং প্রত্যেক থানার ইনচার্জদের ওই বিষয়ে সচেতন থেকে বেশি বেশি মামলা নিষ্পত্তি, ওয়ারেন্ট তামিল ও মাদক উদ্ধারের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
পরিশেষে তিনি সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল হয়ে ও পেশাদারিত্বের সাথে সকলকে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।