দীর্ঘ সময় ধরে বসবাস করেন কানাডায়। পেশায় প্রাইভেট ডিটেকটিভ। রুদ্র মাহমুদ নামের ফেসবুক আইডিতে লাখ লাখ ফলোয়ার। মানুষকে কানাডায় নিয়ে যাবেন বলে স্বপ্ন দেখান। কিন্তু পুরো বিষয়টিই সবৈর্ব মিথ্যা। শহীদুল নামের এই লোক মূলত একজন প্রতারক। তিন সহকর্মীসহ এমন এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশ বলছে তার বিরুদ্ধে প্রতারণাসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।রুদ্র মাহমুদ নামের ফেসবুক আইডি খুললেই কাভার পেজে ভেসে উঠে এক চৌকস ডিটেকটিভের ছবি। এরপর আস্তে আস্তে এগিয়ে গেলে দেখা যায় সহজে কানাডা যাওয়ার নানা উপায় বাতলে দেয়া পোস্ট। মূলত এসব পোস্ট দেখে প্রলুব্ধ হয়ে অনেকেই ইনবক্সে যোগাযোগ করেন তার সঙ্গে। প্রথমে ব্যস্ততার অজুহাতে কিছুটা অনীহা দেখান তিনি। এক পর্যায়ে শুরু হয় কথোপোকথন।পুলিশ বলছে, রুদ্র মাহমুদ নামের এই আইডিটি কৌশলে হ্যাক করে দখলে নিয়েছেন শহীদুল। পরে এই আইডির মাধ্যমেই প্রতারণা শুরু করেন তিনি। এমনকি বিশেষ একটি অ্যাপ ব্যবহার করে ঢাকায় বসেই কানাডার নম্বর ব্যবহার করে মানুষের সঙ্গে কথা বলতো শহীদুল। এছাড়া নিজেকে কখনো মানবাধিকার কর্মী, কখনো সাংবাদিক, কখনো এনজিওকর্মী বলে পরিচয় দিতেন তিনি।প্রতারক শহীদুল খান বলেন, প্রথমে আমি ৫২ হাজার টাকা নিতাম। এরপর ভিসা হবে কিংবা হয়েছে এমন কথা বলে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছি। একটা অ্যাপ আছে, সেটা দিয়ে যেকোনো দেশের নম্বর দিয়ে কথা বলা যায়।প্রতারক মিজানুর রহমান ঢালী বলেন, প্রথমজন যখন টাকা দিলেন তখন আমি বুঝতে পারিনি। তবে এরপরও দুইজন লোক আমার কাছে এসেছেন।পুলিশ বলছে, শহীদুলকে গ্রেফতারের পর এখন পর্যন্ত ৩০ জনের সঙ্গে প্রতারণার তথ্য পেয়েছেন তারা। তবে পুলিশের ধারণা এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি।পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে এটা ৪২০ ও ৪০৬ ধারার মামলা। তবে প্রতারণায় তিনি ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করায় আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।বিদেশ যাওয়ার আশায় কোনো যাচাই বাছাই ছাড়া টাকা লেনদেনে সতর্ক থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান পুলিশ কর্মকর্তাদের।