নোয়াখালীর সেনবাগের হোমনাবাদ শ্রীপুর গ্রামের চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনায় ১মাস ৪দিনে মাথায় তথ্য উদঘাটন ও মালামাল উদ্ধার করেছে সেনবাগ থানা পুলিশ। দীর্ঘ চেষ্টার পর মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে সেনবাগ থানার ওসি মিজানুর রহমান ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি তদন্ত আবদুল আলী পাটোয়ারীর নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স শনিবার ভোরে চট্রগ্রামের বায়োজিত বোস্তামী এলাকার শের-শাহ বাংলাবাজার ডেবারপাড় আজীমের কলোনী, নুর নবীর কলোনি ও মনিরের কলোনি এবং নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদী থেকে দুইজন সহ আন্ত: জেলা ডাকাতদলের মোট পাঁচ ডাকাতকে গ্রেফতার করে। রোববার দুপুরে সেনবাগ থানার ওসি মিজানুর রহমান তার কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে ঃ ফিরোজপুর জেলার মোট বাড়িয়া থানার চরকখালী গ্রামের জমাদ্দার বাড়ির সেলিম হোসেনের ছেলে মোঃ রুবেল হোসেন, একই জেলার ভাঙ্গারিয়া থানার পূর্ব ফসারী বুনিয়া গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের মালাকার বাড়ির মৃত লুৎফুর রহমানের ছেলে ফরিদ উদ্দিন ও একই জেলার মোটবাড়িয়া থানার হোগলপাতি গ্রামের তালুকদার বাড়ির মৃত আবদুল খালেকের ছেলে মোঃ ইদ্রিস, ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার চর চান্দিয়া গ্রামের নুর নবী মাঝি বাড়ির মৃত নুর নবীর পুত্র গোলাম মাওলা প্রকাশ জাহাঙ্গীর ও লক্ষ¥ীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার রোকনপুর গ্রামের চৌধুরী বাড়ির আনোয়ার হোসেনের পুত্র বেলায়েত হোসেন প্রকাশ শাহিন। এদের মধ্যে রুবেল হোসেন, ইদ্রিস ও ফরিদ উদ্দিন ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে শনিবার সন্ধ্যায় নোয়াখালীর বিচারিক আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
সেনবাগ থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, গত দুই আগস্ট উপজেলার ৩নং ডমুরুয়া ইউনিয়নের হোমনাবাদ-শ্রীপুর গ্রামের মাষ্টার আজিজ আহমেদের বাড়িতে এক ডাকাতি সংঘঠিত হয়। এতে ডাকাতদল ১২টি মোবাইল হ্যানসেট, আট ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ দেড় লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন ৩ আগস্ট ডাঃ শাহবুবুর রহমান সুমন বাদি হয়ে সেনবাগ থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের হয়। মামলা তদন্তের একপর্যায়ে মোবাইল ট্যাকিং এর মাধ্যমে শরিবার লুট হওয়া মোবাইল ফোন সেটসহ একে একে ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়।