লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার হাফানিয়া গ্রাম থেকে মঙ্গলবার বিকেলে অপহৃত গনপূর্ত মন্ত্রনালয়ের সহকারী হিসাব রক্ষক মোঃ নজরুল ইসলামকে সন্ধায় পুলিশ আথাকরা গ্রামের চেয়ারম্যান বাড়ি থেকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ ব্যাপারে নজরুলের মা মায়া বেগম বাদি হয়ে ভোলাকোট ইউপি চেয়ারম্যান বশির আহম্মেদ মানিকসহ ৪জনের বিরুদ্ধে থানা এজাহার দায়ের করে।
সূত্র জানায়, উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামের হতদরিদ্র আবুল কাশেম ও তার ভাইয়ের সাথে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধ মিমাংসা করতে আবুল কাসেম ভোলাকোট ইউপি চেয়ারম্যানের আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে চেয়ারম্যান আসামি পক্ষে অবস্থান নিয়ে অন্যায় ভাবে ওই সম্পত্তিতে স্থাপনায় নির্মান কাজ শুরু করলে নজরুল প্রতিবাদ করে। এতে চেয়ারম্যান ক্ষীপ্ত হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে নজরুলকে মোবাইলে হুমকি-ধমকি প্রদান করেন। একপর্যায়ে দেবনগর গ্রামের মাসুদ আলম, নূর হোসেন, রিশাদ সহ ১০/১৫ একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নজরুলের বাড়িতে গিয়ে বেদম মারধর করে অস্ত্র ঠেকিয়ে জোরপূর্ব সিএনজিতে তুলে চেয়ারম্যানের বাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে অপহৃত নজরুলকে উদ্ধার করে।আহত নজরুল ইসলাম বলেন,চেয়ারম্যানের নির্দেশে সন্তাসীরা আমাকে পিটিয়ে সাথে থাকায় ৪০ হাজার টাকা এবং ৩০ হাজার টাকা মুল্যের মোবাইল সেট নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান বশির আহমেদ মানিক বলেন,হাফানিয়া গ্রামের আবুল কাসেম সোলনামা দিয়ে প্রতিপক্ষকে বসতঘর তুলার সুযোগ দেয়। কিন্তু নজরুল ইসলাম মন্ত্রানালয়ের স্টাফ হয়ে এলাকাতে অবস্থান করে অনাধিকার চর্চা করে। তাকে আমার বাড়িতে ডেকে আনতে দলীয় লোকজন গেলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ধস্তাধস্তিতে মারাত্মক আহত হয়।
এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানার এসআই কাউছার জানান, নজরুল ইসলামের মা মায়া বেগমের দায়ের করা এজাহার তদন্ত করে আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।