কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে উভয় পক্ষে বেশ কয়েকটি হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা উম্মোচন হয়। এর ধারাহিকতায় নির্বাচন সংক্রান্ত জের নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ফুলবাড়ী সদরের পানিমাছকুটি ভেল্লীরতল নামক স্থানে হামলার শিকার হয়েছেন ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ। তিনি ফুলবাড়ী উপজেলার নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম রব্বানী সরকারের হামলার শিকার হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩য় তলার ৩১ নম্বর বেডে শয্যাশয়ী হয়েছেন। তিনি বুকে ও গলায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। তার ডান চোখটি নষ্টের উপক্রম হয়েছে। হামলার পর তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের বড়ভাই রজব আলী জানান, আমার ছোটভাই চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ায় সে ৩১ মার্চের ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী আতাউর রহমান শেখের নৌকা প্রতীকের কাজ করেন। এতে নৌকা প্রার্থীর পরাজয় হলে প্রতিশোধ নিতে বিক্ষুদ্ধ হন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মোটরসাইকেল প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থী নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সরকার ও তার ছেলে পাশু, চাচাতো ভাই ফুলবাড়ী ইউপি সদস্য আপেলসহ আরও অনেকে। তারা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ফুলবাড়ী সদরের পানিমাছকুটি ভেল্লীরতল নামক স্থানে আমার ছোটভাই ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদকে মোটারসাইকেল দিয়ে ধাওয়া দিয়ে আটক করে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। সে বুকে ও গলায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তার ডান চোখটি এখন নষ্টের উপক্রম হয়েছে। হারুন অর রশিদ সুস্থ্য হলে তারা এ হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান রজব আলএ হামলার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভপাতি আতাউর রহমান শেখ বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আমার প্রতিদ্বন্দ্বি বিজয়ী প্রার্থী গোলাম রব্বানী সরকার যে হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছেন এটা একজন রাজনৈতিক নেতার আদর্শ হতে পারেনা। তিনি তার হামলা ও এমন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা গহণ করা হবে বলে জানান।