ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শনিবার খাতা কলমে শুধু জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ-২০১৯ খ্রিঃ সম্পন্ন দেখানো হলেও গত পাঁচ দিনের বিভিন্ন কর্মসূচীর কোন একটি পালিত হয়নি বলে অভিযোগ হাসপাতাল কর্মচারী সহ এলাকাবাসীর। এ বছর স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহর উদ্বোধনী দিন গত ১৬ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ভবনের প্রধান ফটকের একাংশে শুধু আলোজ সজ্জা দিয়েই সরকারি বরাদ্দের এক লাখ টাকা আতœসাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, গত ১৬ এপ্রিল সকাল ১০ টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করার পর একই দিন সকাল ১১ টায় উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা এবং বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্য সেন্টারে অগ্রগতি বিষয়ে প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করার জন্য নির্দেশনা দেন। সেবা সপ্তাহর দ্বিতীয় দিনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা হাসপাতালের বহিঃবিভাগে বিশেষ চিকিৎসা সেবা প্রদান, র্যালি, স্বাস্থ্য সচেতনতা পুষ্টি ও খাদ্য বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠান পালনের নির্দেশনা তৃতীয় দিনেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা হাসপাতালের বহিঃবিভাগে বিশেষ চিকিৎসা সেবা প্রদান, সকল স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে পরিস্কার পরিচ্ছন্নকা কার্যক্রম পরিচালনা, হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবার মান্নোয়নে সেবা দাতা ও সেবা গ্রহিতাবৃন্দের মধ্যে মতবিনিময় সভা করার নির্দেশনা ৪র্থ দিনে স্কুল হেলথ প্রোগ্রাম, চিকিৎসা প্রদান বিষয়ক নৈতিকতা বিষয়ক আলোচনা সভা, স্বাস্থ্য সেবার মান্নোয়নে গৃহিত উদ্বোধনী কার্যক্রম ও দৈনন্দিন একে অপরের স্বাস্থ্য সহায়ক পরামর্শ প্রদান বিষয়ক আলোচনা সভা ৫ম দিনে অটিজম ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যাক্তিদের বিশেষ চিকিৎসা প্রদান, স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে হেলথ প্রোগ্রামের আয়োজন করা এবং অটিজম ও মানষিক স্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচনা সভা সহ স্বাস্থ্য সপ্তাহর সমাপনী অনুষ্ঠান পারনের নির্র্দেশনা থাকার পরও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ বছর কোন একটি পর্ব পালন করা হয়নি বলে অভিযোগ সর্ব সাধারনের।
এ ব্যপারে শনিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞেস করলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, “ উদ্বোধনী দিনে উপজেলা প্রশাসন আমাদের সময় দিত পারেন নাই বলে এ বছর স্বাস্থ্য সপ্তাহর বিভিন্ন পর্বগুলো যথাযথভাবে পালন করা সম্ভব হয় নাই। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য সপ্তাহ পালনের জন্য সরকার এক লাখ টাকা বরাদ্দ দিলেও এখনো টাকা হাতে পায নাই”। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মচারী জানান, “ শুধু স্বাস্থ্য সপ্তাহর বরাদ্দ কেন, সরকারের বিভিন্ন বরাদ্দই হাসপাতালের করণিক হায়দার হোসেন ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ভাগাভাগি করে লোপাট করে চলেছেন। এতে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবা থেকে এলাকাবাসী বঞ্চিত হচ্ছেন বলেও তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন”।