আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়নের খরিয়াটিতে মাদকের কারবার বেশ জোরেশোরে শুরু হয়েছে। পাশাপাশি গোপনে গোপনে জুয়ার আসর বসায় এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
আশাশুনি উপজেলা থেকে মাদকের কারবার ও জুয়া নির্মূলে পুলিশ প্রশাসন ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে। ফলে প্রতি নিয়ত জুয়াড়ী গ্রেফতার ও মাদক ক্রেতা-বিক্রেতাকে আটকের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু পরবর্তীতে জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও তারা স্বকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। এমনই একটি জনপথ খরিয়াটি গ্রাম। এটি আশাশুনি, তালা ও পাইকগাছা উপজেলার সংযোগ স্থল। ফলে বর্ডার এলাকা হওয়ায় বিভিন্ন উপজেলার মাদক কারবারী, মাদক সেবনকারী ও জুয়াড়ীদের ব্যাপক সমাগম ঘটে এখানে। খরিয়াটি গ্রামের কেরামত মোড়লের পুত্র ইমদাদুল, ছাবের গাজীর পুত্র সিরাজুল, মৃত সুলতান গাজীর পুত্র রবিউল, মৃত অছের খানের পুত্র মালেক, মালেকের স্ত্রী রুপা, রউফ গাজীর পুত্র ময়নদ্দিন,মালেক গাজীর পুত্র ইমদাদুল, ইনসাফ গাজীর পুত্র এখলাছসহ এলাকার বড় একটি গোষ্ঠি মদ, গাঁজা ও ইয়াবাসহ মাদকের কারবার বেশ জোরে শোরে চালিয়ে আসছেন। প্রতিদিন এদের আড্ডায় বহু মাদত সেবনকারী ও ছোট বিক্রেতাদের আগমন ঘটে থাকে। কেউ কেউ পুলিশে ধরা খাওয়ার পর জামিন পেয়ে আবার কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। একই ভাবে খরিয়াটিতে ময়নদ্দিন, ছানার, আছাফুর, ফিরোজ, সাইদ জুয়ার আসর বসাতে সিদ্ধহস্ত। পুলিশ তাদের বআখড়ায় হানা দিয়ে গ্রেফতারের পর কিছুদিন বন্ধ রেখে আবারও কারবার শুরুর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে তারা। এ ব্যাপারে এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ চরম বিপাকে রয়েছে। তাদের দাবী মাদক ও জুয়া নির্মূলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হোক। দরগাহপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মিরাজ আলি জানান, মাদক ও জুয়া নির্মূলে কঠিন ভাবে কাজ করছি। যে কোন মূল্যে এগুলো ঠেকাতে জোর তৎপরতা চালান হচ্ছে। তিনি প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।