বগুড়ার আদমদীঘিতে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যুর আড়াই মাস পর নিহত যুবকের মা বাদী হয়ে আদালতে খুনের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন। পরকিয়া প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় খুন করা হয়েছে মর্মে করা মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ প্রধান আসামি মনি বেগম কে গ্র্রেফতার করেছে।
জানা গেছে, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আবদুল বারীক পেশায় গৃহ নির্মান শ্রমিক। গত ৩১ জানুয়ারি সকালে ওই ইউনিয়নের বড়বড়িয়া গ্রামের পাশের আলু ক্ষেত থেকে পুলিশ আবদুল বারীকের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়। এদিকে বারীকের মা-বাবা ছেলের মৃত্যুর কারণ খুঁজতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা জানতে পারেন বড়বড়িয়া গ্রামের ইয়াছিন আলীর মেয়ে মনি বেগম বারীকের প্রতি আসক্ত। তিনি বারীকের সাথে পরকিয়া করার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু বারীক তাতে সাড়া না দিলে মনি বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এর একপর্যায়ে ৩১ জানুয়ারি সকালে তার লাশ ওই স্থানে মেলে। লাশের সুরতহাল রিপোর্টে কোন আঘাতের আলামত মেলেনি বলে উল্লেখ করা হয়। নিহত বারীকের মা ছিরিতুন বেগম বাদী হয়ে বগুড়াস্থ আদমদীঘি’র আদালতের বিচারিক হাকিমের আদালতে ১০জনকে আসামি করে ৫মার্চ খুনের মামলা দায়ের করেন। শুনানি শেষে বিজ্ঞ বিচারক মোঃ শহিদুল ইসলাম ১০ এপ্রিল মামলা আমলে নিয়ে তা এজাহার হিসাবে গ্রহন পুর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য আদমদীঘি থানার কর্মকর্তা ইনচার্জকে নির্দেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে বুধবার আদমদীঘি থানায় মামলাঠি এজাহার ভুক্ত করা হয়েছে। মামলার ১০ আসামিরা হল বড়বড়িয়া গ্রামের ইয়াছিন আলীর মেয়ে মনি বেগম, ইয়াছিন আলী ও ইয়াছিন আলীর ছেলে নিহাল আলী, লক্ষিপুর গ্রামের হাজি আবদুল গফুরের ছেলে আমিরুল ইসলাম, আবদুল কাদের ছেদ্দা, ওয়েসকুরনি, রুহুল আমিন, আবুল হোসেনের ছেলে আমিরুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফার ছেলে মোঃ সেতু এবং মনছুর আলীর ছেলে মোঃ রনিকে। এজাহার হিসাবে গ্রহন করার পর বুধবার রাতে পুলিশ মামলার প্রধান আসামি মনি বেগমকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠিয়েছেন। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।