ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরনাসিরপুর ইউনিয়নের মফিজদ্দিন হাজীরকান্দি গ্রামের দিন মজুর তাজেল হাওলাদারের কন্যা রাবিয়া খাতুন (২৩) নামের এক গৃহবধুর শশুর, শাশুরী, দেবর ও পাষন্ড স্বামীর নির্যাতনের স্বীকার হয়ে বিচারের দাবীতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেরাচ্ছে। ওই হান্নান মৃধার দাবীকৃত ৩ লক্ষ টাকা যৌতুক দিতে না পারায় তাকে মারপিট করে স্বামীর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে রাবিয়া বাদী হয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করে। মামলা প্রত্যাহারের জন্য এলাকার প্রভাবশালী মহল নির্যাতনকারী পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে।
মামলার বিবরণ ও সরেজমিনে তথ্যসংগ্রহকালে জানা গেছে, রাবিয়ার সাথে একই ইউনিয়নের মুলামখারকান্দি গ্রামের বতু মৃধার পুত্র মোঃ হান্নান মৃধা (৩৪) এর সাথে ৪ বছর পূর্বে ইসলামিক সরাশরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। বিয়ের সময় রাবিয়ার পিতা উপহার সরুপ নগদ টাকাসহ প্রায় ২লক্ষ টাকার মালামাল উপহার দেয়। হান্নান বিদেশ যাওয়ার অজুহতে স্ত্রীকে তার বাবার বাড়ি থেকে আরো ৩ লক্ষ টাকা যৌতুক এনে দেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। পরে তার দরিদ্র পিতার সহযোগিতায় বিদেশ যেতে সক্ষম হলেও যৌতুকের টাকার দাবী করতেই থাকে। এ ঘটনা নিয়ে গত ০৫/০৩/২০১৯ ইং তারিখে রাবিয়ার বাবার বাড়িতে এক শালিশ বৈঠক বসে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় হান্নান ও তার বাড়ির লোকজন রাবিয়াকে তার পিতার বাড়িতে শালিসগণের সামনে বেদম মারপিট করে আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় রাবিয়াকে সদরপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে চরনাসিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আক্কাছ আলীর সাথে কথা বলা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। বর্তমানে যৌতুক লোভী স্বামীর নির্যাতনের বিচার চেয়ে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মানবাধিকার সংগঠন গুলোর আইনি সাহায্যের দাবী জানিয়েছে।