টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার নাল্লাপাড়া বাজারের দক্ষিণ পাশে নিভৃত পল্লী এলাকায় র্দীর্ঘ দিন ধরে গড়ে ওঠেছে আশরাফুল আলম নামের একটি কার্টুন তৈরির বোড কারখানা। কিন্তু কারখানার বর্জ্যে মারাত্মাকভাবে পরিবেশ দূষণ হলেও যেন দেখার কেউ নেই। কারখানায় প্রতিদিন অসংখ্য বোড তৈরির কাজ করা হয়ে হয়ে থাকে। তবে কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই কারখানার বর্জ্য ফেলে দেওয়া হচ্ছে পাশের এলেংজানি নদীতে। এ ছাড়া বর্জ্যরে কিছু অংশ খোলা জায়গাতেও ফেলে রাখতে দেখা গেছে। ফলে একদিকে নদীর পানি অন্যদিকে কারখানার বর্জ্যরে দুর্গন্ধ বায়ু দূষণ করছে। বোড কারখানার বর্জ্যে মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে এলাকার জনস্বাস্থ্য। নদীর পানি দিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী গোসল সহ দৈন্দিন কাজ করে থাকে। এতে নদীর পানিতে গোসল করে কারও কারও দেখা দিচ্ছে নানা রকম চর্ম রোগ। ক্ষতিকর দুর্গন্ধে অনেকই অসুস্থবোধ করে থাকে।
স্থানীয় কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, কারখানার বর্জ্য ছেড়ে দিলে নদীর মাছ মরে ভেসে উঠে। গ্রামের লোকজন নদীতে গোসল করলে তাদের শরীরে চুলকানি রোগ দেখা দেয়। তাদের কাছে বর্ষা মৌসুমে কারখানার বর্জ্য সব চেয়ে বেশি বিরক্তিকর হয়ে দাড়ায় । নাল্লাপাড়া বাজার সহ আশপাশের এলাকায় বর্জ্য মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়ায়। সে সময় দুর্গন্ধে এ অঞ্চলের মানুষের চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ে। আর্শীবাদ নয় কারখানাটি এলাকাবাসীর নিকট যেন অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার নাল্লাপাড়া বাজোরের পাশেই লালহাড়া গ্রামের সন্নিকটে কারখানাটি স্থাপন করা হয়েছে। কারখানা থেকে মাটির নিচ দিয়ে পাইপের মাধ্যমে পাশের এলেংজানি নদীর সাথে বর্জ্য ফেলার লাইন করা হয়েছে। কারখানার আশপাশের খোলা জায়গাতেও বর্জ্য ফেলে রাখা রয়েছে।
কারখানার ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে আবদুল মালেক ভূইয়া বলেন, কারখার বর্জ্যে বর্ষা মৌসুমে দুই একবার নদীতে ছেড়ে দেয়া হলেও পরিবেশের তেমন ক্ষতি হয় না। খোলা জায়গায় ফেলে রাখা বর্জ্য স্থানীয়রা জ¦ালানী হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। তবে বর্ষা মৌসুমে একটু দুর্গন্ধ হয়। এতেও পরিবেশের তেমন ক্ষতি হয় না বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে দেলদুয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাদিরা আখতার বলেন, নাল্লাপাড়া এলাকায় বোড কারখানা ও পরিবেশ দূষণের বিষয়টি তাদের নজরে নেই । তবে লোক পাঠিয়ে বোড কারখানা ও পরিবেশ দূষণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান তিনি।