পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা এলাকায় মাদক কেনা-বেচাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুরুতর আহত ২ জন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতরা হলেন, স¤্রাট ও জনি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুর ২ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়ক অবরুব্ধ করে রাখে একটি অংশ। মহাসড়ক অবরোধের কারণে শতশত বাস-ট্রাক আটকে পড়ার পাশাপাশি সাধারণ যাত্রীরাও সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুল সংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার গভীর রাতে মিলগেট এলাকার কয়েকজন ধাক্কামারা এলাকায় এলে মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে স্থানীয় যুবকদের সাথে কথা কাটাকাটির পর একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এই ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় মিলগেট এলাকার আওয়ামী লীগের একটি অংশ ওর্য়াড কাউন্সিলর আশরাফুলের নেতৃত্বে মটরসাইকেল যোগে ধাক্কামারায় এসে স¤্রাটকে বেধরক মারপিট করে, এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লবের বাড়িতে হামলার চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে এলাকার লোকজন বেড়িয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে স¤্রাটকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার দ্রুত রংপুর মেডিকেলে পাঠানোর পরামর্শ দেন। এদিকে স¤্রাটের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবীতে ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় সড়ক অবরোধের চিত্র ক্যামেরা বন্দি করতে গেলে অবরোধকারীরা এই প্রতিবেদকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে ধারণকৃত ছবি মুছে ফেলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) সুদর্শন রায়, সদর থানার ওসি আক্কাছ আলীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে চলে আসেন। দীর্ঘ আলোচনার পর ১২ ঘন্টার মধ্যে আসামীদের ধরার আল্টিমেটাম দিয়ে বিকেল সাড়ে ৫ টায় সড়কের ব্যারিকেট তুলে নেয়া হয়।
এ ব্যাপারে পঞ্চগড় সদর থানার ওসি মোঃ আক্কাছ আলী মুঠোফোনে বলেন, মহাসড়কের ব্যারিকেট তুলে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অভিযোগ ও নামের তালিকা পেলে আসামীদের গ্রেফতারে থানা পুলিশ কার্যকর ভুমিকা পালন করবে।