কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ঝুঁকিপূর্ণ একটি বাঁশের সাঁকোর সংবাদ দৈনিক ভোরের দর্পনে প্রকাশ হওয়ার পর রায়গঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আ.স.ম আব্দুল্লাহ আল ওয়ালিদ মাসুমের প্রচেষ্টায় কাঠের ব্রিজ নির্মিত হয়েছে। ব্রিজটি উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের রতনপুর এলাকা হতে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার মাঝিটারী এলাকার ফুলকুমার নদীর উপর নির্মিত। রতনপুর মাঝিটারী এলাকার একটি বাঁশের টার দিয়ে সাঁকো থাকায় এটি শুধু অনিরাপদই ছিলো না ছিলো মরণ ফাঁদও। প্রতিনিয়িত ঘটত দুর্ঘটনা। ভয়ে স্কুল পড়-য়া শিক্ষাথীরা স্কুলে যেতে চাইতো না। আর এই বাঁশের টারে তৈরি সাঁকোয় পাড়াপার হতো দুপাড়ের ১০ গ্রামের প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পাড়াপার হতো শহ¯্রাধিক জনসাধারণ। একটি ব্রিজের অভাবে আয় রোজগারসহ সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলো দু’পাড়ের বাসিন্দারা। যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষার আলো থেকেও বঞ্চিত ছিলো অপর প্রান্তের শিশু, কিশোররা। কেউ অসুস্থ হলেও জরুরিভাবে এই পথে উপজেলা শহরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াও ছিলো দুস্কর। ফলে অনেক বিপাকে পড়তে হতো জনসাধারণকে। সাঁকো পাড়াপারের সময় পা ফঁসকে পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ছিলো অনেক। বিগত দিনে বহু চেয়ারম্যান আর এমপি এই করুণ চিত্র দেখে ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা ছিলো ধোঁয়াসায়। শধু মিষ্টি কথার ফুলঝুড়ি শুনিয়ে ভেজা গামছা বুকে তুলে দিয়ে আর কখনও খোঁজখবর রাখেননি কেউই। পরে কালক্রমে সাঁকোটি চোখে পড়ে দৈনিক ভোরের দর্পণ-এর নাগেশ্বরী প্রতিনিধির। ছবি তুলে সংবাদ প্রকাশ করেন জাতীয় দৈনিক ভোরর দর্পণে। ২০১৮সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার ভোরের দর্পণসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর নজরে আসে উর্ধ্বোতন কর্তৃপক্ষের। তখনই কাঠের ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন রায়গঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আ.স.ম আব্দুল্লাহ আল ওয়ালিদ মাসুম। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জনসাধারণের চলাচলের জন্য নিজ উদ্যোগে উপজেলা পরিষদের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে চলতি বছরের মার্চ এবং এপ্রিল মাসে কাঠ এবং বাঁশ দিয়ে বেশ শক্ত করেই নির্মাণ করেন প্রায় শত মিটারের একটি ব্রিজ। এতে ব্যায় হয় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ব্রিজটি পেয়ে অনেক খুশি ওই অঞ্চলের মানুষ। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় এখন উন্নয়নের ছোঁয়া হাতছানী দিচ্ছে তাদের। তবে পরবর্তীতে কাঠের ব্রিজ ভেঙ্গ ত্রাণ অথবা এলজিইইড থেকে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আ.স.ম আব্দুল্লাহ আল-ওয়ালিদ মাসুম বলেন, আপাতত পাড়াপাড়ের জন্য কাঠের ব্রিজ দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এমপি মহোদয়ের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে সেতু নির্মাণ করা হবে।