নিজের বাড়িতেই রামদার কোপে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম রমজান আলী এবার বিপাকে পড়েছে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। জামিনে মুক্ত আসামীরা এখন প্রকাশ্যে এসে হত্যার হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য। এ ঘটনায় চরম বিপাকে পড়েছে বাদী এবং তার পরিবার। প্রতিকার চেয়ে তারা আদালতের শরানাপন্ন হয়েছেন।
জানা গেছে, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার জয়রামপুর এলাকার বসতবাড়ির জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ ছিল রমজান আলীর সাথে পাশের বাড়ির একরামুল হক গংদের। এ নিয়ে প্রায়শই বিবাদ লেগেই থাকতো। গত ২২ এপ্রিল সকালে নিজ বসতবাড়ির আঙ্গিনায় অবস্থান করছিলেন রমজান আলী। এসময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে একদল সন্ত্রাসী একরামুল হকের নেতৃত্বে ধারালো এবং ভারী অস্ত্র নিয়ে রমজান আলীকে হত্যার উদ্দ্যেশে বাড়িতে হামলা চালায়। তাকে একা পেয়ে সন্ত্রাসীরা রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ী ভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় ছুটে আসে রমজান আলীর স্ত্রী রেবেকা খাতুন এবং ভাতিজা ডাঃ মিজানুর রহমান। সন্ত্রাসীরা ডাঃ মিজানুর রহমানকেও হত্যার উদ্দ্যেশে রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। রমজান আলীর স্ত্রী রেবেকা খাতুন কেও পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। এ ঘটনার দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ছুটে এসে গুরুত্বর আহতদের উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থা আরো বেগতিক হলে তাদেরকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এ ঘটনার পর ওই দিনই ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো জ্জ জনের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় ৪৪৭/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩০৭/৫০৬ পেনাল কোড ১৮৬০ ধারায় একটি মামলা রের্কড করা হয়। যার নং ৩৫ তারিখ ২২/৪/২০১৯। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১ জনকে গ্রেফতার করে। অন্যরা আদালতে সমর্পন করলে আদালত ২জনকে জামিন দিয়ে ১ জনকে জেল হাজতে প্রেরন করে। রমজান আলী জানান, আসামীরা সশস্ত্র সন্ত্রাসী। তারা আমাদের কে হত্রার উদ্দ্যেশেই হামলা করেছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে প্রানে বেঁচে আছি। কিন্তু আসামীরা জামিনে মুক্তি পেয়ে তারা আরো বেসামাল হয়ে পড়েছে। তারা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে আমরা আদালতের শরানাপন্ন হয়েছি।