রংপুরের মিঠাপুকুরে উপজাতি এক স্কুলছাত্রী এবং তার ছোট বোনকে গণধর্ষণ ও এক বোনের আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার অপর এক আসামি মামুন ওরফে স্বপন মিনজিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ । শুক্রবার সকালে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার খামার তাহেরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মামুন মিনজি পীরগাছা থানাধীন সোম নারায়ন গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনার প্রধান আসামি রতন মিনজিকে রাজধানীর সাভার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে রংপুর র্যাব ১৩ এর একটি দল। এ নিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হলো।
মামুন মিনজিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, মিঠাপুকুর উপজেলার আদিবাসী পল্লীর দুই বোনকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত মামুন ওরফে স্বপন মিনজিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদসহ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
প্রসঙ্গত রংপুর জেলার পীরগাছা থানাধীন সোম নারায়ন গ্রামের বুধু মিনজির ছেলে রতন মিনজির সঙ্গে মিঠাপুকুরের আদিবাসী পল্লীর এসএসসি পরীক্ষার্থী এক স্কুলছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘটনার দিন গত ১৮ এপ্রিল মোবাইল ফোনে দেখা করতে ওই ছাত্রীকে ডাকে রতন। ওই দিন বিকেলে চাচাতো বোনকে সঙ্গে নিয়ে ভগ্নিপতির বাড়ি পীরগাছায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় হয় দুই বোন। এরপর রংপুর শহরের মাহিগঞ্জ এলাকায় পৌঁছলে সেখানে রতন ও তার দুই বন্ধু হযরত এবং মামুন মিলে একটি ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে দুই বোনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ঘটনা কাউকে না বলার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এতে দুইবোন ভয়ে কাউকে কিছু না বলে পরদিন তারা বাড়ি ফেরে। এরপর লজ্জা এবং ক্ষোভে বিকেল ৫টার দিকে শয়নকক্ষে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে বড় বোন। বিষয়টি প্রথমে কেউ না জানলেও পরে নিহত ওই ছাত্রীর মুঠোফেনে প্রেমিক রতনের ছবি এবং তাকে উদ্দেশ্য করে লেখা ক্ষুদে বার্তায় আত্মহত্যার নেপথ্যের কারণ বেরিয়ে আসে।
ঘটনার পাঁচদিন পর ২৩ এপ্রিল আত্মহত্যাকারী ছাত্রীর এক বোন বাদী হয়ে কথিত প্রেমিক রতনসহ তিনজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন।