আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নীলফামারীর ছয় উপজেলায় ২৫ জন ডিলার টিসিবির ভোগ্য পণ্য বিক্রি শুরুর কথা থাকলেও মাত্র একজন ডিলার গত ২৫ এপ্রিল থেকে বিক্রি শুরু করে। গত ২৬ এপ্রিল দেখা যায় ওই একজন ডিলারই পণ্য বিক্রি করছে বাকী ২৪জন এখন পণ্য বিক্রি শুরু করেনি। নীলফামারী জেলা প্রশাসনের সুত্র মতে রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জেলার ছয় উপজেলায় ২৫ জন ডিলার টিসিবির পণ্য বিক্রি করবেন। ওই পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু করা হয় ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে। জেলার ছয় উপজেলায় ২৫ ডিলারের মধ্যে রয়েছে জেলা সদরে ৭জন, জলঢাকায় ২ জন, ডিমলায় ৩ জন, কিশোরীগঞ্জে ৭ জন, ডোমারে ৪ জন, সৈয়দপুরে ২ জন। তারা প্রতি কেজি চিনি ৪৭ টাকা, প্রতি লিটার ভোজ্য তেল (সয়াবিন) ৮৫ টাকা ও মসুর ডাল ৪৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি করবে। রোজা শুরুর পাঁচ দিন আগে থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে ছোলা ও দুই দিন আগে থেকে ১৩৫ টাকা দরে খেজুর বিক্রি করবে। একজন ক্রেতা একসঙ্গে ২ থেকে ৫ কেজি চিনি, মসুর ডাল ২ কেজি, ছোলা ১ থেকে ৪ কেজি, পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল এবং এক কেজি খেজুর কিনতে পারবে। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায় জেলা শহরে একজন ডিলার ছাড়া বাকী ২৪ জন ডিলার এখনও টিসিবির ভোগ্যপণ্য বিক্রি শুরু করেনি। নিয়ম অনুযায়ী সকল ডিলার ২৫ এপ্রিল হতে নির্দিষ্ট স্থানে ভোগ্য পণ্য বিক্রি করবে। নীলফামারী শহরের আনন্দবাবুর পুল পয়েন্টের টিসিবির ডিলার অভি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সত্যেন্দ্রনাথ রায় বলেন, কোন ডিলার রংপুর ডিপো থেকে টিসিবির ভোগ্য পণ্য উত্তোলন করেছে কিনা জানিনা। তবে আমি নিয়ম অনুযায়ী আমার ডিলারের কোঠার পণ্য উত্তোলন করে ২৫ এপ্রিল হতে বিক্রি শুরু করেছি। এদিকে ভোক্তা সাধারনের অভিযোগ টিসিবির ডিলারদের উপর প্রশাসসিক নজরদারি না থাকলে ডিলাররা ডিপো হতে পণ্য উত্তোলন করে কালোবাজারে বিক্রি করে লাভবান হবে। এতে করে ভোক্তারা পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সরকারের দেয়া নায্য মূল্যে টিসিরি ভোগ্য পণ্য হতে বঞ্চিত হবে। যাতে ভোক্তারা বঞ্চিত না হয় সে দিকে প্রশাসনের নজরদারী দাবি করা হয়।