দিন দুপুরে প্রভাবশালীরা কেটে নিয়ে গেল রাস্তার সরকারি বেশ কয়েকটি গাছ। জয়পুরহাট ক্ষেতলাল উপজেলার ইটাখোলা বাজার-জামালগঞ্জ বাইপাস পাকা রোডের ঘুগোইল গ্রামের গাছগুলো কাঁটা হয়। গাছগুলো কাটার পর তা ধামাচাপা দিতে জয়পুরহাট জেলা পরিষদে গাছ কাটার বিষয়টি শিকার করে লিখিত আবেদন করেছেন এলাকার প্রভাবশালী আব্দুর রাজ্জাক।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার ইটাখোলা বাজার- জামালগঞ্জ রোডের ঘুগোইল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের জমিতে কয়েক রকমের গাছ লাগানো ছিল। গত তিনদিন আগে থেকে তার জমির গাছগুলো কাঁটা শুরু করেন এবং সেগুলো কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় গতকাল বৃহস্পতিবার পাকা রাস্তার সঙ্গে সরকারি রাস্তার সিমানার শিমুল ও ইউকালেকটর বড় চারটিসহ পাশের অন্যান্য কয়েকটি গাছ কাটে নিয়ে যায় আব্দুর রাজ্জাকের লোকজন। পরে স্থানীয়রা জেলা পরিষদে খবর দিলে অফিসের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে গাছগুলো কাঁটা হয়েছে এবং পাশেই মজুত করে রাখা হয়েছে। তারপরেই সু-কৌশলে গাছ কাটার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে জেলা পরিষদ বরাবর ভুলবশত গাছগুলো কাঁটা হয়েছে বলে লিখিত আবেদন করেন আব্দুর রাজ্জাক।
এ ব্যাপারে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমার রাস্তার পাশের জমির গাছগুলো কাটার সময় সরকারি কয়েকটি গাছ ভুলবশত কাঁটা হয়েছে। কাটার পরই আমি জেলা পরিষদে একটি লিখিত আবেদন করেছি।
জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ অতুল মন্ডল বলেন, আমাদের কাছে গাছ কাটার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে। সেটার তদন্ত চলছে, আগামি সোমবারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ক্ষেতলাল উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আরাফাত রহমান জানান, গাছ কাটার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।