রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় চলতি এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পরীক্ষা কেন্দ্র গুলোতে ১৩জন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা পরীক্ষা তদারকির কাজে নিয়োজিত থাকায় পৃথক ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে স্বাভাবিক কাজকর্ম বিঘিœত হচ্ছে। গত ১লা এপ্রিল পরীক্ষা শুরুর দিন থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, চলতি বছরে পীরগঞ্জে ১৩টি পরীক্ষা কেন্দ্রে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সমূহ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়,পীরগঞ্জের সরকারি শাহ্ আবদুর রউফ কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে- তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা হিসেবে- পীরগঞ্জ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা- মাহফুজা বেগম, পীরগঞ্জ মহাবিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে- উপজেলা দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা- কাজী আজিজুল ইসলাম, পীরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে- ক্রেডিট এ- মার্কেটিং কর্মকর্তা- মোকলেছুর রহমান, ভেন্ডাবাড়ী ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে-সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা- সেরাজুল ইসলাম, ভেন্ডাবাড়ী মহিলা কলেজ কেন্দ্রে- সহ: শিক্ষা কর্মকর্তা- মোরশেদুল করিম, চতরা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে- উপজেলা প্রতিবন্ধী কর্মকর্তা- মাসুদ রানা, ধাপেরহাট মনিকৃষ্ণ সেন ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে- সহ: শিক্ষা কর্মকর্তা- আবু জাহের সাইফুর রহমান, খালাশপীর বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে- উপজেলা আই,টি,সি কর্মকর্তা- লিজা বেগম, জাফরপাড়া কামিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে- উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা- আনিছুর রহমান, পীরগঞ্জ ফাযিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে- উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার- সাজেদুল হক বারি, চতরা বিজ্ঞান ও কারিগরি কলেজ কেন্দ্রে- উপজেলার ব্যানবেইজ কর্মকর্তা- মোতাকাব্বির বিল্লাহ,খালাশপীর বিজনেন্স এ- ম্যানেজমেন্ট কলেজ কেন্দ্রে- উপজেলা সরকারি শিক্ষা কর্মকর্তা- খাইরুল ইসলাম ও পীরগঞ্জ বিজ্ঞান ও কারিগরি কলেজ কেন্দ্রে- উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা- হারুন-অর-রশিদ তদারকির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য যে, পীরগঞ্জ উপজেলায় ডিগ্রি মর্যাদা সম্পন্ন যে সমস্ত কলেজ রয়েছে এর মধ্যে ১টি কলেজ ছাড়া বাকী কলেজ সমূহে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অপরদিকে বিজ্ঞান ও কারিগরি কিংবা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ৭টি কলেজের মধ্যে ৩টি কলেজকে কেন্দ্র হিসেবে চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। অপরদিকে তুলনামূলক এসএসসি ও এইচএসসি এবং ডিগ্রি মানের মাদ্রাসাগুলোর মধ্য থেকে জাফরপাড়া কামিল মাদ্রাসা এবং পীরগঞ্জ ফাযিল মাদ্রাসাকে কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সচেতন নাগরিকদের মতে, শিক্ষা বিভাগ ইচ্ছে করলেই উল্লিখিত কলেজ সমূহগুলো থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো অনায়াসেই কমিয়ে আনতে পারে। এক্ষেত্রে একদিকে সরকারি জনবল কম এবং অর্থব্যয়ও সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তারা পরীক্ষা কেন্দ্রে তদারকির দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাদের দপ্তরে টানা অনুপস্থিত থাকায় যে স্থবিরতার সৃষ্টি হয়েছে তাও লাঘব হতে পারে। উল্লেখ্য চলতি এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এ বছর উল্লিখিত ১৩টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ৪ হাজার ৫৩৮জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে এবং এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করায় প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী নিয়মিত পাঠদান ও গ্রহন থেকে বঞ্চিত রয়েছে।