ট্রেনের টিকেট ক্রয় সহজীকরণসহ যাত্রীসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ওয়ান স্টপ মোবাইল অ্যাপ ‘রেলসেবা’র উদ্বোধন করা হয়েছে। এই অ্যাপসের মাধ্যমে যাত্রীরা টিকিট কেনা সহ মোট ৩৫ টি সুবিধা পাবে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ১২ টা সুবিধা ভোগ করতে পারবে গ্রাহক।
কমলাপুর রেলস্টেশনে এ অ্যাপ উদ্বোধন করা হয়। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক কাজী রফিকুল আলমসহ রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
অ্যাপের মাধ্যমে যেসব সেবা পাওয়া যাবে
সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ক্রয় করা যাবে, নির্দিষ্ট গন্তব্যের ভাড়া জানা যাবে, টিকিট প্রাপ্যতা সম্পর্কে জানা যাবে, ট্রেন রুট, সময়সূচি, ট্রেনভিত্তিক বিরতি স্টেশনসমূহের নাম ও সময়সূচি, জার্নি হিস্ট্রি, কোচ ভিউ, সিট চয়েজ করা যাবে। এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনের নম্বর, খাবারের মেন্যু ও মূল্য তালিকাও জানা যাবে। পরবর্তীতে এ অ্যাপটি থেকে যেকোনো যাত্রী সহজেই তার নিজের অথবা পরিবারের জন্য খাবার কিনতে পারবেন।
রেলসেবা অ্যাপটি বর্তমানে সব ধরনের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনভিত্তিক অ্যাপটি উদ্বোধনের পর থেকেই ব্যবহার করা যাবে। তবে আইওএসভিত্তিক মোবাইল ফোনে অ্যাপটি উদ্বোধনের ৭২ ঘণ্টা পর ব্যবহার করা যাবে।
ইতোমধ্যে জাতীয় কল সেন্টারের (৩৩৩) সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্যসমূহ ইন্টিগ্রেইড করা হয়েছে। ফলে জাতীয় কল সেন্টার ৩৩৩ থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য পাওয়া যাবে।
ভ্রমণকালীন সব রকম যাত্রীসেবা এক অ্যাপেই পাওয়া যাবে এবং যাত্রীরা সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন। ভ্রমণ শেষে ভ্রমণের অভিজ্ঞতার ওপর যাত্রী সাধারণ তাদের মতামত অ্যাপের মাধ্যমে প্রদান করতে পারবে।
রেল স্টেশনে গিয়ে টিকিট কাটার সময় বা সুযোগ হয় না অনেকেরই। গেলেও আবার কাউন্টারে প্রায়ই টিকিট থাকে না বা থাকলেও টিকিট কাটার মতো পরিস্থিতি থাকে না। বর্তমানে এত ঝক্কি-ঝামেলার কোনো দরকার নেই। ট্রেনের টিকিট এখন নিতে পারেন অনলাইনেই। আসুন জেনে নেই অনলাইনে টিকিট পাওয়ার নিয়ম-
জেনে নিন
রেলওয়ের ওয়েবসাইট esheba.cnsbd.com এ ঢুকতে হবে। ঢুকলেই একটি পেজে দুটি অপশন, একটি সাইন ইন, অন্যটি সাইন আপ। যাদের আইডি খোলা আছে তারা ই-মেইল, পাসওয়ার্ড, সিকিউরিটি কোড দিয়ে সাইন ইন করে আইডিতে ঢুকবেন। যাদের আইডি খোলা নেই, তারা আইডি খুলতে সাইন আপে ক্লিক করবেন।
আইডি খুলতে
সাইন আপে ক্লিক করলে একটি পেজে নিয়ে যাবে। এখানে প্যাসেঞ্জারের নাম, ই-মেইল আইডি, পাসওয়ার্ড, আপনার ঠিকানা এবং মোবাইল নম্বর চাইবে। এ পাসওয়ার্ড আপনি যে আইডি খুলছেন, তার পাসওয়ার্ড। আর যাত্রীর নাম দিতে সতর্ক থাকবেন। যার নাম দেওয়া হবে, তিনিই হবেন আইডির এবং টিকিটের মালিক। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ হলো মোবাইল নম্বর। একটি নম্বর থেকে একটি আইডি খোলা যাবে। এই নম্বর সবসময় অনলাইন টিকিটের পিডিএফে শো করবে। এগুলো সব ফিলাপ করে রেজিস্ট্রার বাটনে ক্লিক করবেন।