কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানা পুলিশ প্রায় ২মাস পর চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের শিকার রাহেলা বেগমকে হত্যার সন্দেহভাজন ২জনকে আটক করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার রাজারহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ প্রাণপতি এলাকায় রাহেলা (৫০)হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে ২৮এপ্রিল রোববার গভীর রাতে রাজারহাট থানার এসআই মমিনের নেত্বতে একদল পুলিশ উপজেলার রাজারহাট ইউনিয়নের আদর্শবাজার থেকে কানুরাম গ্রামের মৃত মতিজুল ইসলামের পুত্র আমিনুর রহমান(৪২)কে আটক করে। অপরদিকে ২৯এপ্রিল সোমবার সকালে দক্ষিণ প্রাণপতি এলাকার ঘড়িয়ালডাঙ্গা বিল থেকে খিতাবখাঁ গ্রামের মৃত কাশেম আলী ওরফে টেপু মন্ডলের পুত্র মুকুল মিয়া(৩৫) কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে আটকদয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাহেলা হত্যার সাতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে রাজারহাট থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ কৃষ্ণ কুমার সরকার জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, উপজেলার রাজারহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ প্রাণপতি গ্রামের মৃত আঃ মজিদের কন্যা রাহেলা বেগম(৫০) কে গত ২মার্চ রাতের যেকোন সময় একটি বাঁশ ঝাঁড়ে গণধর্ষণের পর মাথায় আঘাত করে হত্যার পর ধর্ষণের আলামত নষ্ট করার জন্য লাশ মৃত ভানু মিয়ার বাঁশ ঝাঁড়ের পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেয়। পরদিন ৩ মার্চ রোববার পুলিশ ওই পুকুরে পানি থেকে রাহেলা বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় হত্যাকান্ডের শিকার রাহেলা বেগমের মেয়ে কহিনুর বেগম বাদী হয়ে রাজারহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।