রংপুরের মিঠাপুকুরে আদিবাসী দুই বোনকে গণধর্ষণের ঘটনায় আরো এক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে পীরগাছা উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে মূল হোতা রতন মিনজি ও স্বপন মিনজি ওরফে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রংপুর জেলা গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান,ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর দুই বোনকে গণধর্ষণের মামলার আসামি পীরগাছা উপজেলার সোম নারায়ন গ্রামের শামছুল আলমের পুত্র হয়রত আলী (২১) কে পীরগাছা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্তদের একজন।
পুলিশ জানায়,রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার সোম নারায়ন গ্রামের বুধু মিনজির ছেলে রতন মিনজির সঙ্গে মিঠাপুকুরের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পল্লীর এসএসসি পরীক্ষায় অবতীর্ণ এক স্কুলছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১৮ এপ্রিল মোবাইল ফোনে দেখা করতে ওই ছাত্রীকে ডাকে রতন। ওই দিন বিকেলে ১০ শ্রেণিতে পড়-য়া চাচাতো বোনকে সঙ্গে নিয়ে ভগ্নিপতির বাড়ি পীরগাছায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় হয় দুই বোন। এরপর রংপুর শহরের মাহিগঞ্জ এলাকায় পৌঁছলে সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা রতন ও তার দুই বন্ধু হযরত এবং মামুন মিলে একটি ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে দুই বোনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ঘটনা কাউকে না বলার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এতে দুইবোন ভীত হয়ে কাউকে কিছু না বলে পরদিন তারা বাড়ি ফেরে। এরপর লজ্জা এবং ক্ষোভে শয়নকক্ষে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে বড় বোন। বিষয়টি প্রথমে কেউ না জানলেও পরে ওই ছাত্রীর মুঠোফেনে প্রেমিক রতনের ছবি এবং তাকে উদ্দেশ্য করে লেখা ক্ষুদে বার্তায় আত্মহত্যার নেপথ্যের কারণ বেরিয়ে আসে। ঘটনার পাঁচদিন পর ২৩ এপ্রিল আত্মহত্যাকারী ছাত্রীর এক বোন বাদী হয়ে কথিত প্রেমিক রতনসহ তিনজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর র্যাব ঢাকার সাভার এলাকায় আত্মগোপনে থাকা রতন মিনজিকে গ্রেপ্তার করে। এর পরপরই ডিবি পুলিশ শুক্রবার পীরগঞ্জের তাহেরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্বপন মিনজি ওরফে মামুন (২৫)কে গ্রেপ্তার করে।