মাদকাসক্ত শ্রমিকদের সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশানের রংপুর বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ। তিনি বলেন, মাদকে সুখ নেই। শান্তি নেই। মাদক সমাজে অশান্তি ছড়ায়। ব্যক্তি জীবনে ধস নামায়। তাই মাদকাসক্ত শ্রমিকদের মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে। সুন্দর ভবিষ্যৎতের জন্য মাদক ছাড়তে হবে।
রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে জাতীয় শ্রমিক লীগের মহানগর কমিটি আয়োজিত সচেতনতামূলক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল। জাতীয় শ্রমিক লীগে স্বাধীনতা বিরোধি শক্তির কাউকে রাখা হবে না। যদি কেউ বিএনপি জামায়াত-শিবির থেকে এসে শ্রমিক লীগে নাম লেখায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জঙ্গিবাদ, নাশকতা ও মাদক-সন্ত্রাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ রুস্তম আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির ব্ক্তব্য রাখেন- রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (হেড কোয়ার্টার্স ও প্রশাসন) মহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন- আরপিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) শহিদুল্লাহ্ কাওছার, সহকারি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক উত্তর) ফরহাদ ইমরুল কায়েস, পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন-প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন- মহানগর শ্রমিক লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক, রসিকের ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রহমত উল্লাহ্ বাবলা, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মিজু, ৩২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহাবুব মোর্শেদ শামীম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে শ্রমিকদের দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবার আহবান জানিয়ে মাদক সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা চান।
অনুষ্ঠানে মহানগর শ্রমিক লীগের আটটি থানা ও ৩৩টি ওয়ার্ড কমিটির নেতৃবৃন্দসহ নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন স্তরের নারী ও পুরুষ শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে নতুন কমিটিকে সংবর্ধিত করা হয়। পরে স্থানীয় শিল্পীদের অনুষ্ঠান উপভোগ করেন পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক শ্রমিকরা।