সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বনানী কার্যালয়ে তালা ভেঙে ৪৩ লাখ টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে জাতীয় পার্টি। মঙ্গলবার ভোরে বনানীর ১৭/এ নম্বর রোডের কার্যালয়টিতে এসে তালা ভাঙা দেখতে পান কর্মরতরা।
চুরির খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে মামলা করা হবে বলে জানা গেছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। কার্যালয়ে বর্তমানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী জানান, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিসের তালা ভেঙে ৪৩ লাখ টাকা নিয়ে গেছে চোর।
বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোকলেসুর রহমান বলেন, ‘টাকা চুরির ব্যাপারে লিখিত কোনো অভিযোগ আমরা এখনো পাইনি। তবে সকালে মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত করে দেখছি।’
এসআই মোকলেস আরও বলেন, ‘কার্যালয়ের মেইন গেটের ভেতরে ঢোকার পর ছোট্ট তিনটি কক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে দুটি কক্ষের লক ভাঙা পেয়েছি আমরা। কক্ষের আশপাশে কোনো সিসি ক্যামেরা ছিল না, এমনকি পুরো ভবনে কোনো সিসি ক্যামেরা নেই।’
তিনি বলেন, ‘কার্যালয়ের লোকজন দাবি করছে, একটি কক্ষ থেকে ৪২ লাখ টাকা এবং আরেকটি থেকে প্রায় ১ লাখ টাকার মতো খোয়া গেছে। তবে তারা এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিতভাবে অভিযোগ করেনি।’
এর আগে স্বাক্ষর জাল ও সম্পদের নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
বুধবার রাজধানীর বনানী থানায় জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানার ডিউটি কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মিথুন। তিনি জানান, জিডি নম্বর ১৫০২। এর ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শায়হান ওয়ালীউল্লাহ।
জিডিতে অভিযোগ করা হয়েছে, তার বর্তমান ও অবর্তমানে স্বাক্ষর নকল করে পার্টির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, দলের বিভিন্ন পদ-পদবি বাগিয়ে নেয়া, ব্যাংক হিসাব জালিয়াতি এবং পারিবারিক সম্পদ, দোকানপাঠ, ব্যবসা-বাণিজ্য হাতিয়ে নেয়া ও আত্মীয়-স্বজনদের জানমাল হুমকির মুখে রয়েছে। এ কারণে তিনি মনে করেন অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে কেউ যেন এমন অপরাধ করতে না পারে, সে বিষয়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দরকার।