পরিকল্পিত পরিবার গঠন, বাল্যবিয়ে, কৈশোরে গর্ভধারণ প্রতিরোধ, কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য পুষ্টি, নিরাপদ মাতৃত্ব, নবজাতকের যতœ এবং জেন্ডার বিষয়ে প্রচার ও জনসতেচনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শেরপুর জেলার কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের অংশগ্রহণে অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইইএম ইউনিট, পরিবার পরিকল্পনা ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের যৌথ আয়োজনে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ রজনীগন্ধায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব।
শেরপুর পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. পীযূষ চন্দ্র সূত্রধরের সভাপতিত্বে অবহিতকরণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবিএম এহছানুল মামুন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন। এ সময় ডিপিএম ফরিদুল আলম, সহকারি পরিচালক মো. মোদাব্বের হোসেন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির তালুকদার, শেরপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন, শেরপুর টাইমস সম্পাদক শাহরিয়ার মিল্টন-সহ জেলার কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্র্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় ডা. পীযূষ চন্দ্র সূত্রধর বলেন, জেলায় ২৬ জন কর্মকর্তার স্থলে ৭ জন কর্মকর্তা থাকায় মাঠপর্যায়ে উল্লিখিত কাজের মনিটরিং করা অনেকটাই কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে জনসংখ্যা ও বাল্য বিয়ে রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখা যাচ্ছে না। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য বিষয়ক সেবাসমূহ জনগণের নিকট তুলে ধরাসহ প্রতিবেদনর মাধ্যমে পরিবার পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের সাফল্য ও ব্যর্থতা পলিসি লেভেল তুলে ধরার জন্য আহব্বান জনান।
জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন, বাল্যবিয়ে নিয়ে শুধু পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ একা কাজ করছে না। আমরা সবাই মিলে কাজ করছি। এটা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। এটিকে আমাদের উত্তরণ করতে হবে। আশা করছি লক্ষমাত্রা অর্জনে আমরা সবাইকে পাশে পাবো। আর সফলতার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের মানচিত্রে শেরপুর জেলাকে সব দিক দিয়ে একটি উচ্চতর জায়গায় নিয়ে যেতে চাই। তিনি আরো বলেন, ভিক্ষুকমুক্ত শেরপুর গড়তে ভিক্ষুকদের পুনর্বাসিত করতেও বিভিন্ন কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।