শেরপুরের নালিতাবাড়ী থেকে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায় নিয়ে যাওয়া একটি বালু ভর্তি ট্রাকের ভিতর থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শেরপুরের নালিতাবাড়ী শহর যুব লীগের সহ-সভাপতি সোহেল মিয়া (৩০) ওরফে সোহেল মুন্সীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে টাংগাইলের দেলদুয়ার থানা পুলিশ। সে পৌর শহরের বাজার সীটপাড়ার মৃত আব্দুল জলিল ওরফে গুলগুইল্লা মুন্সির ছেলে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার দিকে নালিতাবাড়ী শহরের উত্তর বাজার এলাকা থেকে আটক করে তাকে দেলদুয়ার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ৮ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার থেকে শাহীন কোম্পানীর নামে তিনটি ট্রাক বালু নিতে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর নয়াবিল গ্রামের বানিয়া পাড়ায় আসে। ট্রাকগুলো নালিতাবাড়ীর বালু ব্যবসায়ী ও শহর যুব লীগ নেতা সোহেল মুন্সী এবং জিয়ার মালিকানাধীন বালু কিনে রাত আড়াইটার দিকে বালু ভর্তি ট্রাক তিনটি টাংগাইলের দেলদুয়ারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ভোরে খবর আসে দেলদুয়ারের নাটিয়া পাড়ায় বালু নামানোর সময় একটি ট্রাকের (নং- ঢাকা মেট্রো-ট-২০-৬৫২৪) বালুর ভিতরে অজ্ঞাত এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে দেলদুয়ার থানা পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। তবে এরআগেই বালু রেখে ট্রাক চালক শহীদ পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় দেলদুয়ার থানার এসআই আব্দুল হান্নান তদন্ত কাজ শুরু করেন। এক পর্যায়ে সোহেল মুন্সীর বিষয়ে বেশকিছু তথ্য পান। এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাতে তাকে নালিতাবাড়ী থেকে আটক করে দেলদুয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের সোহেল মুন্সীর আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে টাংগাইলের দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল হক ভুইয়া মুঠোফোনে জানান, আটককৃত সোহেল মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তের স্বার্থে তিনি এখনই কোন তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে তিনি বলেন, অজ্ঞাত লাশের এখনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। এমনকি কিভাবে নিহত হয়েছেন তার ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাননি।