দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় নদী খনন কাজ কে কেন্দ্র করে দু- গ্রুপের সংঘর্ষে নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও থানা আওয়ামী লীগের সাঃ সম্পাদক আতাউর রহমান সহ উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার বিকালে উপজেলার মাহমুদ ইউনিয়নের মোগরপাড়া বারুনি নামক স্থানে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে এক পক্ষ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ ওই মামলায় ১ জনকে গ্রেফতার করেছে। জানা যায় মোগড়পাড়া বারুনি এলাকার উপর দিয়ে প্রবাহিত করতোয়া নদীর খনন কাজ ঠিকাদারের মাধ্যমে ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও নবাবগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাঃ সম্পাদক আতাউর রহমান। এরপর স্থানীয় সংসদ সদস্য সমর্থিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের অপর একটি গ্রুপ ওই খনন কাজে বাধা দেয় এবং খনন কাজে ব্যবহৃত মেশিনের চালককে মারপিট করে।সংবাদ পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সেখানে গেলে অপর গ্রুপের লোকেরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এ সময় তিনি আত্মরক্ষার জন্য তার কাছে থাকা বৈধ সর্টগানের ২/৩ রাউন্ড গুলি ছোঁড়েন। ওই গুলিতে কেউ আহত হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট জানা যায়নি। এরপর শুরু হয় উভয় পক্ষের সংঘর্ষ। সংঘর্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্যাহেল আযিম(সোহাগ), সাকিউল আলম, জাহিদ হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম, রঞ্জু, রাজ্জাক,লিটন ও আজাদুল নামে ৯ জন আহত হয়। আহতরা বিকালে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সকলেই বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসার জন্য চলে যায় বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা জানান। এছাড়াও বেশ কয়েকটি মটর সাইকেল ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে।ধারালো অস্ত্রের আঘাতে উপজেলা চেয়ারম্যান হাতে ও কপালে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন। নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ খাইরুল ইসলাম নিজেই তার ওই ক্ষত স্থানে সেলাই দিয়েছেন বলে তিনি জানান।তিনি বর্তমানে দিনাজপুরে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। নবাবগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ সুব্রত কুমার সরকার জানান ওই ঘটনায় উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল রানা বাদী হয়ে ৩৮ জনকে অভিযুক্ত করে বুধবার রাতে থানায় একটি মারপিট ও জখমের অভিযোগ আনয়ন করে মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলার এজাহার নামীয় অভিযুক্ত উপজেলার জগদিশপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে হেলাল(৪৫) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে তিনি আর অন্য কারও কোন অভিযোগ পাননি বলেও জানান। ঘটনাটি নবাবগঞ্জ উপজেলা সহ পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোতে অলোচনার মূল বিষয়ে পরিণত হয়েছে।