নওগাঁর মান্দায় একটি গভীর নলকূপের ড্রেনম্যানকে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। বোরো ধানের জমির সেচভাড়ার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে তাকে পিটিয়ে জখম করেন এক কৃষক ও তার লোকজন।
বর্তমান ওই ড্রেনম্যান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। রোববার বিকেলে উপজেলার ভেবড়া গ্রামের মাঠে হামলার শিকার হন তিনি।
হামলার শিকার ড্রেনম্যানের নাম রমজান আলী (৭০)। তিনি উপজেলার গনেশপুর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা। একই মৌজায় স্থাপিত একটি গভীর নলকূপের ড্রেনম্যানের কাজ করতেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই গভীর নলকূপের অপারেটর জালাল হোসেন চিকিৎসার কাজে ভারতে অবস্থান করছেন। ভারতে যাওয়ার আগে তিনি নলকূপটি পরিচালনা ও সেচভাড়ার টাকা আদায়সহ যাবতীয় দায়িত্ব ড্রেনম্যান রমজান আলী ও আব তাহেরের ওপর দিয়ে যান।
ছোয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, একই গ্রামের কৃষক খাইরুল ইসলামের কাছে সেচভাড়ার বকেয়া ১০০০ টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ড্রেনম্যান রমজান আলীর সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এনিয়ে গত বৃহস্পতিবার কলেজ মোড়ে বাগ্বিত-ার একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
জের ধরে কৃষক খাইরুল ইসলামের নেতৃত্বে আকাশ হোসেন, সাগর হোসেন, বকুল হোসেনসহ ৬ থেকে ৭জন ব্যক্তি সংঘবদ্ধ হয়ে গ্রামের মাঠে ড্রেনম্যান রমজান আলীর ওপর হামলা করে। হামলাকারীরা এ সময় লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ড্রেনম্যান রমজান আলী একটি হাত ও একটি পা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়।
মাথায় একাধিক আঘাতের কারণে ঘটনাস্থলেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি রামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, বিষয়টি জেনেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো এজাহার পাওয়া যায়নি। পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।