ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে মহাসড়কে গণপরিবহনের যাত্রীবাহী বাসে অতিরিক্ত যাত্রীবহন করার কারণে প্রায় দিনে ঘটছে ছোট বড় দূঘটনা। দূর্ঘটনার কারণে ঘটছে প্রানহানির ঘটনা, অনেকে পঙ্গু হয়ে দিন যাপন করছে। পরিবহন আইন কেউ মানছে না। গনপরিবহন গুলো বাড়তি টাকার জন্য অতিরিক্ত যাত্রি বোঝায় নিচ্ছে।
মহাসড়কে আইন অমান্য করে যশোর-ঝিনাইদহ, কালীগঞ্জ-চুয়াডাঙ্গা সড়কের বিভিন্ন পরিবহনে অবাধে বহন করা হচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রী। বাসের ছাদে ও তোলা হচ্ছেন যাত্রি কিন্তু আইন প্রয়োগকারি সংস্থা ও পরিবহন সেক্টরে দায়িত্বে থাকা কেউ সংশ্লিষ্ট আইন মানছে না।
যশোর থেকে কালীগঞ্জ ভায়া চুয়াডাঙ্গা রুটে ১৫ মিনিট পর পর পরিবহনের বাস চলাচল করে যার অধিকাংশ ফিটনেছ ও রুডপারমিট বিহীন। বি, আর, টি এর আইন অমান্য করে পুরাতন দশ বছর পনের বছরের বয়স মিনিবাস বডি রিপারিং করে নজরকাড়া রং করে সড়কে চলাচল করছে। ফিটনেস না থাকার গাড়ি গুলো অবাধে সড়কে চলাচল করলে ও কেউ বাধা নিষেধ করতে যাচ্ছে না। যানবাহনের মালিকরা অবাধে গাড়ি চালাচ্ছে বাড়তি টাকা ও আয় করছে। শহরের মেইন বাসষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায় অতি মুনাফা লাভের আশায় এসব বাসে উঠানো হয়েছে অতিরিক্ত যাত্রী।ধারন ক্ষমতার চেয়ে বেশী যাত্রী বহন করা, ওভার লোডের কারণে বাস বিকল হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় যার কারণে প্রায় ঘটে থাকে প্রানহানির মতো দূর্ঘটনা।চুয়াডাঙ্গা গামী যাত্রী রুবেল আহম্মেদ বলেন, বাসে সিটখালী নেই তাই বাসের ছাদে বসতে বাধ্য হয়েছি। হেলপার বলছে বাসের ছাদে উঠতে, এরকম অনেকেই ছাদে উঠে বসে আছে। এসব বাস যখন দূঘটনার শিকার হয় বা রাস্তার পাশে খাটে পড়ে যায় তখন অনেকেউ মারা যায়।
কালীগঞ্জ মোটর মালিক সমিতির যুগ্ন সম্পাদক ফরিদউদ্দীন বলেন, মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বাসের মালিকদের সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অতি দ্রুত অতিরিক্ত যাত্রী বহন বন্ধ করা হবে ও তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এমনকি জরিমানা করা হবে। অনেক সময় মালিক সমিতির পক্ষ থেকে মোবাইল কোট করা হয় ছাদে বা বাম্পারে লোক ঊঠালে তাদের কে জরিমানা করা হয়।
এ ব্যাপারে বারবাজার হাইওয়ে থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ নজরুল ইসলাম বলেন, যদি মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন বাসে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হয় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কোন অবস্থাতেই বাস চালকদের বেআইনি আইন মানা হবে না। ছাদে লোক উঠলে গাড়ির নামে মামলা দেওয়া হবে। প্রতিদিন কালীগঞ্জের উপর দিয়ে শত শত যাত্রিবাহি বাস চলাচল করে থাকে, কিন্তু বাসষ্টান্ডে বসে থাকা দূর্ঘটনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা কেউ বিষয়টি লক্ষ করে না। অবশ্য তারা যানবাহন থেকে চাদার টাতা নিয়ে থাকে, কিন্তু দায়িত্বে থাকা সদস্য রা বা শ্রমিকরা কেউ বিষয়টি আমলে নেয় না।