ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত হানতে পারে এমন আশঙ্কায় বরগুনায় ব্যাপক প্রস্তুতি হাতে নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসন ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাত ও সম্ভাব্য দুর্যোগ মেকাবেলায় এক প্রস্তুতি মূলক সভা করেছে।
জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ’এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জেলার সকল সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সকল সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জেলার উপকূলবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনসহ জেলার ছয় উপজেলায় পৃথক পৃথক ভাবে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। জেলায় ৭ হাজার স্বেচাছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা গুলোকে। ৩৩৫ টি আশ্রায়ন কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৪ শ ৮ মে. টন, চাল, ২৬ বান্ডিল ঢেউটিন ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ১৪ লাখ নগত টাকা, ৪২ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ লেকজনকে উদ্ধারের জন্য ইঞ্জিন চালিত মটরযান ও বড় বড় ট্রলার রিকুজিশন করা হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণী নিয়ে বরগুনাসহ সমগ্র উপকূল জুরে চলছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা। বরগুনার তালতলী সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে উত্তাল ঢেউয়ের সৃষ্টি হচ্ছে, আছড়ে পড়ছে বড় বড় ঢেউ।
ইতোমধ্যে গভীর সমুদ্র থেকে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাগুলো তীরে ফিরে এসেছে। আর যেসব ট্রলার ও নৌকা সাগরে যেতে চাচ্ছিলো তাদের যাত্রাও বাতিল করেছে। বরগুনা সদর, আমতলী, তালতলী, পাথরঘাটা, বামনা ও বেতাগীতে বর্তমানে গুমট আবহাওয়া বিরাজ করছে। বরগুনা নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, দুরপাল্লার এবং অভ্যন্তরিণ রুটে নৌযানগুলো চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।