নীলফামারীর ডিমলায় সোনালী ব্যাংক ডিমলা শাখার সদ্য যোগদানকৃত সিনিয়র কর্মকর্তা রমেন চন্দ্র রায়ের নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় উল্টো ওই ভুক্তভোগী ছাত্রীর বিরুদ্ধে ব্যাংকটির ডিমলা শাখা ব্যবস্থাপক বাদী হয়ে ডিমলা থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করলে পুলিশ ছাত্রীকে গ্রেফতার করেন। জানা যায়, নীলফামারী জেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ধোপা ডাঙ্গা গ্রামের ভদ্র নারায়ন রায়ের ছেলে ও সোনালী ব্যাংক ডিমলা শাখা সিনিয়র কর্মকর্তা রমেন চন্দ্র রায়(২৮) এর সাথে তার কাকার বড় শ্যালক জেলার ডোমার উপজেলার সদরের কলেজ পাড়ার ভবেন রায়ের মেয়ে ও অনার্স পড়-য়া ছাত্রী বিথী (২০) এর দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে গভীর প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। কিন্তু অর্থলোভী প্রেমিক রমেন বেশ কিছুদিন আগে হঠাৎ সোনালী ব্যাংকে সিনিয়র কর্মকর্তা পদে চাকরি পেয়ে বিথীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে গোপনে অন্যত্রে মোটা অংকের যৌতুকের বিনিময়ে নিজের বিয়ে ঠিক করে ফেলেন। এমন খবর পেয়ে সোমবার (২৯শে এপ্রিল) দুপুরে ওই ছাত্রীটি প্রেমিক রমেন চন্দ্রের কর্মস্থল এলাকা ডিমলায় এসে প্রেমিকের আত্মসম্মানের কথা ভেবে ব্যাংকে না গিয়ে লোক মারফত প্রেমিক রমেনকে ডেকে ডোমারে নিয়ে যায়।এমন সময়ে ডিমলা সোনালী ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক ঘটনাটি জানতে পেরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও ডিমলা থানা পুলিশকে তার ব্যাংকের সিনিয়র অফিসারকে অপহরণ করা হয়েছে অবগত করলে ডিমলা থানা পুলিশ প্রেমিক-প্রেমিকা দুজনকেই সোনালী ব্যাংক ডিমলা শাখায় ফিরে এসে সেখানেই ছাত্রীটি বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়। ব্যাংক অফিসারের এমন নারী কেলেঙ্ককারির খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহের জন্য ওই ব্যাংকে গেলে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপক শরিফ হাসান ও কর্মকর্তা (ক্যাশ) রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ ও মামলার হুমকি দিয়ে তাদের ব্যাংক থেকে বেড়িয়ে যেতে বললে সাংবাদিকদের সাথে তাদের বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় সাংবাদিক নেতারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। পুলিশ ওই প্রেমিক-প্রেমিকা দুজনকেই রাত প্রায় ৯টায় থানায় নিয়ে যাওয়ার পর প্রেমিক রমেন মামলার বাদী হতে অপারগতা জানালে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক শরিফ হাসান বাদী হয়ে ছাত্রীটি সহ নামীয় ৩ জন এবং অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে অপহরণ মামলা দায়ের করে। মামলা নং-২৪, তারিখ-৩০/০৪/২০১৯। এ মামলায় পুলিশ ছাত্রীটি গ্রেফতার দেখিয়েছে। এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংকের নীলফামারী এজিএম সুলতান জানান, সাংবাদিকদের সাথে তো দুরের কথা কোনো মানুষের সাথেই সোনালী ব্যাংক সংশ্লিষ্ট কেহই খারাপ আচরণ করার ক্ষমতা রাখেননা। আমি বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব। এ ব্যাপারে ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দি শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ব্যাংক কর্মকর্তা অপহরণ মামলার গ্রেফতারকৃত আসামি বিথীকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।